ঢাকা, শুক্রবার ২৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৩:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গুজবের বিষয়টি নওশাবা স্বীকার করেছেন : র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩২ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৮ রবিবার

উত্তরার একটি শুটিং স্পট থেকে ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।

 


শনিবার রাত একটার দিকে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

 



মুফতি মাহমুদ খান বলেন, নওশাবা ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়ানোর পর আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করি। পরে শনাক্ত করে উত্তরার একটি শুটিং স্পট থেকে রাত দশটায় নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

 



তিনি বলেন, নওশাবা ভিডিওতে এমনভাবে শিক্ষার্থীদের চোখ উপড়ে ফেলা এবং শিক্ষার্থী মৃত্যুর কথা বলে, এতে মনে হয়েছে নওশাবা ঘটনাস্থল জিগাতলায় ছিলেন। তিনি অস্থির হয়ে ছোটাছুটি করছিলেন আর আশেপাশে তাকাচ্ছিলেন। সবাইকে রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানাচ্ছিলেন। কিন্তু সেসময় তিনি উত্তরার একটি শুটিং স্পটে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গুজবের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

 



তিনি আরও জানান, রুদ্র নামে এক ছেলের সঙ্গে গত ৩ আগস্ট তার পরিচয় হয় শাহবাগে। তারপর থেকে রুদ্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় এবং চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আপডেট জানতে পারেন। আমরা তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 



র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, একটি মহল গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। গুজব ছড়ানোর বিষয়ে তারা এমন ব্যক্তিকে সিলেক্ট করছে, যেন তার কথা মানুষের কাছে সত্য মনে হয়। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 



এর আগে শনিবার রাতে নওশাবাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব-১ ব্যাটালিয়ন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সাড়ে ১০টার দিকে র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয় নওশাবাকে। এরপরই আটক নওশাবাকে গ্রেফতার করার কথা জানায় র‌্যাব।

 



উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে কাজী নওশাবা আহমেদ ফেসবুক লাইভে এসে জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় চার জনের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার খবর জানান। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের (শিক্ষার্থী ইঙ্গিত করে) একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। আর চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ-প্লিজ ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় অবস্থান করছে। আপনারা এখনই রাস্তায় নামেন। বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান, এটা আমার রিকোয়েস্ট। বাচ্চাগুলো নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। আপনারা সবাই একসাথে হোন।’