ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৫:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাজারে বাড়ছে সব পণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। পেঁয়াজ, আদা, ডিম, মসলাসহ সবকিছুর দাম বাড়তির দিকে। তবে সবজির দাম কমতির দিকে।


 
আজ বৃৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার,রামপুরা বাজার, মহাখালীসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

 

 
রাজধানীর খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায় দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
 
 
ব্যবসায়ীরা তাদের বরাবরের যুক্তিতে বলছেন, একেতো দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম তার উপর আবার  ভারতে বৃষ্টির জন্য পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়েছে। এসব কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
 

গত সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৪০ টাকায়। তবে রসুনের দাম বাড়েনি। আজ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


 
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে পটল, চিচিঙ্গা, ঝিঙা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাকরোল, ঢেঁরস ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করল্লা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, শশা ৪০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 


 
রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা লিখন বলেন, বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ছাত্রদের অবরোধে পরিবহন সমস্যায় সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির সববরাহ বেড়েছে। ফলে দাম পড়তির দিকে।

 

 
 তবে এখনও বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। ডিমের দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। বর্তমানে প্রতি হালি ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। 

 


তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাছের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি রুই, কাতলা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫’শ থেকে ৬’শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫’শ থেকে ৫৫০ টাকায়।


  
শান্তিনগর বাজারের  মাছ বিক্রেতা সোহাগ বলেন, জেলেদের জালে এবার প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এ বছর প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে বলে ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন।


 চাল, তেল, মাংসের বাজার স্থিতিশীল। 


কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে বেড়েছে মসলার দাম। কেজি প্রতি মান ভেদে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। মানভেদে জিরার কেজি ৩৩৫ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দারুচিনি ৩৩০ টাকা, জয়ফল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, লবঙ্গ মান ভেদে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অনান্য মসলার দামও বাড়তি।