ঢাকা, রবিবার ১৯, মে ২০২৪ ৫:৫০:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাজপেয়ী-কাউলের সম্পর্ক চিরকালই রহস্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:২২ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

মেয়ে নমিতার কন্যা নিহারীকার সঙ্গে বাজপেয়ী

মেয়ে নমিতার কন্যা নিহারীকার সঙ্গে বাজপেয়ী

সদ্যপ্রয়াত হলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ভারতের ইতিহাসে সফল রাজনীতিবিদ বাজপেয়ীর জীবনেও রয়েছে নানা ঘটনা, ইতিহাস কিংবা রহস্য। চিরকুমার এই প্রধানমন্ত্রীর জীবনের নানা গল্প উঠে আসছে মিডিয়ায়। বিশেষ করে বাজপেয়ী আর মিসেস কাউলের সম্পর্ক চিরকাল রহস্যেই থেকে গেল। 

বাজপেয়ী তখনও প্রধানমন্ত্রী হননি। সদ্য দিল্লিতে এসেছেন এক তরুণ সাংবাদিক। ভাগে পড়েছে বিজেপি বিট। তাই বাজপেয়ী, আদবাণীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করেই খবর যোগাড়ের চেষ্টা চালাতেন গিরিশ নিকাম নামে সাংবাদিক। প্রেস কনফারেন্সে মুখ দেখাতে দেখাতে বাজপেয়ীর কিছুটা মুখ চেনা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই মাঝে মধ্যেই খবরের আসায় ফোন করতেন তার বাড়িতে। সন্ধে হোক বা রাত, বাজপেয়ীজিও নির্দ্বিধায় কথা বলতেন।

 

এরকমই এক সন্ধেয় ফোন করলে ওপাশে শোনা যায় এক মহিলা কন্ঠ। ‘মিসেস কাউল হেয়ার…। হকচকিয়ে যান ওই তরুণ সাংবাদিক। তবু বিশেষ উৎসাহ না দেখিয়ে বাজপেয়ীজিকে দিতে বলেন। এরকম ঘটনা একাধিকবার ঘটেছিল। তবু বিশেষ কৌতূহল দেখাননি ওই সাংবাদিক। এভাবেই চলছিল। হঠাৎ একদিন মহিলাই নিজে উৎসাহ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তার সঙ্গে।

 

নাম জানান, রাজকুমারী কাউল। এও জানান, ৪০ বছর ধরে তার সঙ্গে বাজপেয়ীর বন্ধুত্ব। রাজকুমারী, তার স্বামী অধ্যাপক কাউলের সঙ্গেই দিল্লিতে থাকেন বাজপেয়ী। রাজকুমারীর মেয়ে নমিতাকেই নিজের মেয়ে বলতেন বাজপেয়ী। তবে রাজকুমারীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে কখনই কোনও নাম দেননি বাজপেয়ী।

 

বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, কলেজেই বাজপেয়ীর সঙ্গে আলাপ রাজকুমারী কাউলের। বাজপেয়ীর সঙ্গেই মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়তেন দিল্লি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপিকার মেয়ে রাজকুমারী। কলেজ জীবন শেষে আর তেমন যোগাযোগ ছিল না।

 

ততদিনে রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে শুরু করেছেন বাজপেয়ী। আর অধ্যাপক বিএন কাউলকে বিয়ে করে দিল্লি এলেন রাজকুমারী। ফের দেখা হল বাজপেয়ীর সঙ্গে। শুরু হয় যোগাযোগ। সমাজসেবার কাজকর্ম করতেন মিসেস কাউল। নিজের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে গরীব মানুষকে এইমসের মত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন। বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্বেও কোনোদিন সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি তিনি। শুধু ফোনেই তাঁর কন্ঠস্বর শুনেছেন কেউ কেউ, ”মিসেস কাউল বোল রাহি হুঁ।”

 

রাজকুমারী কাউলের স্বামী অধ্যাপক কাউলের মৃত্যুর পর, তার পুরো পরিবারকেই কার্যত দত্তক নেন বাজপেয়ী। ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডেই বাজপেয়ীর সঙ্গে থাকতেন রাজকুমারীর মেয়ে নমিতা। নিজের মেয়ে বলেই পরিচয় দিতেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী। তবে রাজকুমারী বা নমিতার ব্যাপারে আলাদা করে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন কোনোদিনই মনে করেননি বাজপেয়ী। ২০১৪ তে মৃত্যু হয় রাজকুমারী কাউলের। তার চার বছর পর চলে গেলেন বাজপেয়ী। এভাবেই রহস্যে থেকে গিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক।