ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:২১:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রাইফার মৃত্যু: জামিন পেলেন অভিযুক্ত চার চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুর মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চার চিকিৎসক। 


আজ সোমবার চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো.নোমান তাদের জামিনের আদেশ দিয়েছেন।


গত ৩০ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া চার সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে সোমবার চার চিকিৎসক নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

হাইকোর্ট পূর্বে জামিন দেওয়ায় এবং মামলার এজাহারে যেসব ধারা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো জামিনযোগ্য হওয়ায় আসামিরা জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

চার চিকিৎসক হলেন- শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরী, ম্যাক্স হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও শুভ্র দেব এবং ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী।

রাইফা দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক রুবেল খানের মেয়ে। গলায় ব্যথা হওয়ায় রাইফাকে গত ২৮ জুন বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডা. বিধান রায়ের অধীনে চলছিল তার চিকিৎসা। ২৯ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়।


সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের মুখে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও এক নার্সকে পুলিশ ধরে থানায় নিলেও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন।

এরপর সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের মধ্যে ১৮ জুলাই নগরীর চকবাজার থানায় মামলার এজাহার জমা দেন রুবেল খান। ২০ জুলাই সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে র‌্যাব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথভাবে ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযানও চালায়। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একদিনের ধর্মঘট পালিত হয়। এছাড়া রাইফার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিও এ ঘটনার তদন্ত করে।

সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন কমিটি তদন্তে ভুল চিকিৎসার প্রমাণ না পেলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। তদন্ত প্রতিবেদনে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে এই কমিটি।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি ম্যাক্স হাসপাতালের লাইসেন্সে ত্রুটিসহ ১১টি অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানায়।