ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৫২:৪২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

১২ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি নালায় পড়ে যাওয়া শিশুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের চকবাজারের কাপাসগোলায় ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে ছিটকে নালায় পড়ে মায়ের কোলে থাকা ছয় মাসের শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নবাব হোটেল সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী।


শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নৌবাহিনীর বিশেষ ডুবুরি দল শিশুটিকে উদ্ধারে ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট শেখ মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

শিশুটি তার মা ও দাদির সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বেড়াতে যাচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে সড়ক তলিয়ে থাকায় রিকশাটি উল্টে খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা রিকশাচালককে দ্রুত উদ্ধার করলেও, শিশুটির মা ও দাদী পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে একটি ব্রিজের নিচে পাইপে আটকে পড়েন। পরে স্ল্যাব খুলে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও শিশু সেহরিস তখন থেকেই নিখোঁজ।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে নৌবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা টানা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকে নতুন করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, “খালের জটিল গঠন এবং পানির প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি জানান, “শিশুটিকে উদ্ধারে চসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মী এনে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। রিকশাটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু শিশুর কোনো খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।”

এদিকে, শিশুটির পরিবার চরম শোকে ভেঙে পড়েছে। এক স্বজন বলেন, “রাত থেকে আমরা শুধু অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখনো কোনো খবর পাচ্ছি না।”

উল্লেখযোগ্য যে, গত চার বছরে চট্টগ্রামের নালা ও খালে পড়ে শিশুসহ অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জলাবদ্ধতা ও খালের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।