আইরীন নিয়াজী মান্নার কিশোর কবিতা: আমন্ত্রণ
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ২৩ মে ২০২৫ শুক্রবার

প্রতীকী ছবি
হলুদ খামের নীল কাগজে তোমার চিঠি পেলাম,
সেলাম বন্ধু তোমার জন্য রইলো আমার সেলাম।
দেশটা ছেড়ে আছি আমি তিন বছরের মত,
দেশের স্মৃতি হৃদয় মাঝে বইছে অবিরত।
তুমি আমায় লিখলে চিঠি আসতে ফিরে ঘরে?
এখন আমি ব্যস্ত যে ভাই আসবো কেমন করে।
দেখছি আমি ঘুরে ঘুরে দিল্লি থেকে ঢাকা,
এদেশ থেকে যাচ্ছি ওদেশ ঘুরছে সময়-চাকা।
দেখছি দূরের নীল এভারেষ্ট দেখছি হিমালয়,
যতোই দেখি ততোই এচোখ অবাক হয়ে রয়।
তাজমহলের রূপটি দেখে একলা নিরজনে,
শাজাহানের অমর প্রেমের কাব্য পড়ে মনে।
হিমালয়ের কন্যা সে এক নেপাল নামের দেশ,
সবুজ-শ্যামল কোমল মেয়ের রূপের নেইতো শেষ।
এক মুহূর্তে উড়ে গেছি দালাই লামার দেশে,
শ্বেত তূষারে ঢাকা গিরি তবু সূর্য ওঠে হেসে।
হিরোশিমায় পোঁছে কি যে পেলাম দুঃখ মনে,
মহাযুদ্ধের ধ্বংসলীলার স্মৃতি বাজে ক্ষণে ক্ষণে।
দূর মিশরের পিরামিড দেখেছি সৃষ্টি অবাক করা,
কোন জাদুকর গড়ে গেছে সেই বিস্ময় মনোহরা।
নীল নদের নীল পানি আজো পদ্মার মতো বয়,
নীল নদকে নিয়েই তো মিশরের উন্নত পরিচয়।
এদেশ-সেদেশ কত দেশ যে দেখছি ঘুরে ঘুরে,
এক নিমিশেই ভার্সাই থেকে নায়াগ্রায় গেছি উড়ে।
ইফেল টাওয়ারে উঠতে গিয়ে পেয়েছি ভীষণ ভয়,
তুলির ছোঁয়ায় ফরাসী জাতি যে বিশ্ব করেছে জয়।
কানাডায় দেখে এলাম সেখানে এস্কিমোরাও আছে,
শীতল বরফে তৈরি গুহায় ভালোভাবেই ওরা বাঁচে।
এস্টেচু অব লিবার্টি আজ শুধুই কি মূর্তি ভাই?
স্পার্টাকাসের মুক্তির স্মৃতি-দেখে সেটা থেমে যাই।
আরব দেশের পাথুরে পাহাড় দেখেছি শূন্য মরু,
তেল দিয়ে ভরা সেই দেশ, নেই কোন লতা-তরু।
বন্ধুগো তুমি দেখলে এসব ভাববে তো কল্পনা-
আসলে কিন্তু সবই সত্যি, মোটেও গল্প না।
প্রশান্ত মহা সাগরের তীরে এখন দাড়িয়ে আছি,
আকাশ ঠেকেছে সামিয়ানা হয়ে সাগরের কাছাকাছি।
টিকিট তোমায় পাঠিয়ে দিলেম আসবে কিন্তু তুমি-
দেখবে জগত তিন ভাগই জল, এক ভাগ শুধু ভূমি।