ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ২:৪২:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঢাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমেছে, শীর্ষে কায়রো

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২৪ মে ২০২৫ শনিবার

ঢাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমেছে, শীর্ষে কায়রো

ঢাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমেছে, শীর্ষে কায়রো

ঢাকার বায়ুদূষণের পরিমাণ গতকাল শুক্রবারের  তুলনায় শনিবার বেশ খানিকটা কমেছে। দূষণ কমার সঙ্গে সঙ্গে আজ তালিকায় নিচের দিকে নেমে এসেছে ঢাকা। তবে ঢাকার তুলনায় বিশ্বের অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ বেশ বেড়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে ঢাকা বায়ুমান ছিল ১৫২, অর্থাৎ আজ ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআইয়ের আজকের সূচক অনুসারে, ঢাকার বায়ুমান ১৫২, যা গতকাল শুক্রবার ছিল ১৫৭। এ ছাড়া, তালিকায় শীর্ষে থাকা শহরগুলো হলো যথাক্রমে—মিসরের কায়রো (১৭৩), একই পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে আফ্রিকার দেশ ডিআরসি কঙ্গোর কিনশাসা, তৃতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তানের কাবুল (১৫৮), চতুর্থ স্থানে আছে চীনের উহান (১৫৬) এবং পঞ্চম স্থানে ভারতের দিল্লি (১৫৫)। 

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। 

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।