প্রাক্তন প্রেমিকাকাকে ছুরিকাঘাতে আহত করলেন প্রেমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৩০ মে ২০২৫ শুক্রবার
ফাইল ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রেম অনেক আগেই ভেঙে গেছে। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ের দিন ঠিক হওয়ায় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ। বিয়ের প্রস্তুতির মাঝপথে এসে ছুরি চালিয়ে সাবেক প্রেমিকাকে গুরুতর আহত করেছেন তিনি। পরে নিজেকেও ছুরিকাঘাত করেন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ছুরিকাঘাতে আহত তরুণী ও অভিযুক্ত সঞ্জীবন দুজনই সিলেটের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ (২৮) ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালী গ্রামে। প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। বর্তমানে ওই তরুণী সুনামগঞ্জের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
সম্প্রতি তার পারিবারিকভাবে অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য হয় আগামী রোববার (১ জুন)। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা উপলক্ষে তরুণী তার ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে একটি বিউটি পারলারে যাচ্ছিলেন তিনি। পথেই হাসননগর এলাকায় মুখোমুখি হন সাবেক প্রেমিক সঞ্জীবনের সঙ্গে। এ সময় পার্থ ছুরি দিয়ে তরুণীর শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
তার আত্মীয়দের ভাষ্য, তরুণীর শরীরে ১০টির বেশি ছুরির আঘাত রয়েছে, যার মধ্যে ৯টিই গভীর। তাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতেই অস্ত্রোপচার করা হয় তার শরীরে।
হামলার পরপরই সঞ্জীবন পালিয়ে যান শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাট এলাকায়। সেখানে নিজের শরীরেও ছুরিকাঘাত করেন তিনি। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সঞ্জীবনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহত তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, বিচ্ছেদের পরও সঞ্জীবন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি অভিযুক্তের পরিবারকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
