নিখোঁজের ৬ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কন্যাশিশুর মরদেহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ৩১ মে ২০২৫ শনিবার
হত্যার শিকার শিশু রদিয়া আক্তার ওহি। ছবি: সংগৃহীত
জয়পুরহাটের কালাইয়ে নিখোঁজের ৬ দিন পর ৪ বছর বয়সী রদিয়া আক্তার ওহির র্অধগলিত মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে জড়িত সন্দেহে ওহির সৎ মা সোনিয়া আক্তার, চাচা রনি ও সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওহি হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। সে মায়ের সঙ্গে পাশের গ্রামে মাত্র দুই মিনিটের পথ থাকলেও প্রায় প্রতিদিন বাবার বাড়িতে দাদির সঙ্গে দেখা করতে যেত। গত শনিবার সকালে দাদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আর ফেরেনি সে।
ওহির খোঁজ না পেয়ে তার মা প্রথমে স্বজনদের জিজ্ঞেস করেন। তখন সৎ মা ও চাচা জানান, দাদি না থাকায় ওহিকে মায়ের কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। পরদিন কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
জিডির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ওহির বাবা, দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার বাবা জিয়া কসাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া স্বীকার করেন ওহিকে হত্যা করে বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দিয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
