হাতিয়ায় ট্রলারডুবি: রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ১ জুন ২০২৫ রবিবার
হাসিনা খাতুন ইউএনএইচসিআর-এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির একদিন পর নিখোঁজ এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজন হয়েছে। এখনো নিখোঁজ এক পুলিশ সদস্য ও এক শিশু।
আজ রোববার (০১ জুন) সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতির বিবির হাটের কাছে মেঘনা নদী থেকে নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুবলে জানিয়েছেন ভাসানচর থানার ওসি মো. কুতুব উদ্দিন।
ওসি বলেন, মরদেহ উদ্ধার হওয়া হাসিনা খাতুন (২৫) ইউএনএইচসিআর-এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ট্রলারে তার স্বামী মো. তারেক এবং তাদের ৪ বছরের শিশু মো. তামিমও সঙ্গে ছিল।
তারেককে উদ্ধারের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাদের ছেলে তামিম নিখোঁজ রয়েছে। অপর নিহত মো. সাইফুল ইসলাম পুলিশের নায়েক। তিনি জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম বলেন, বিবির হাট এলাকায় নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এর আগে শনিবার বিকালে হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, দুপুরে হাতিয়ার ভাসানচর থেকে তিন পুলিশ সদস্য, চার আনসার সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনকে নিয়ে ট্রলারটি রওনা হয়েছিল। পরে বিকাল ৩টার দিকে হরণী ইউনিয়নের করিম বাজার ঘাটের কাছে ডুবারচর এলাকায় তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক নদীতে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা একজনের মরদেহসহ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেন।
