কোরবানির পশু নিয়ে আনন্দে মেতেছে রাজধানীর শিশুরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৩ এএম, ৬ জুন ২০২৫ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি
কোরবানির ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। উৎসবে মেতে উঠেছে মুসলিম জামানা। উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশের মানুষেরা। শনিবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয়ে যাবে পশু কোরবানি।
এরই মধ্যে অনেকে কোরবানির পশু কেনা শেষ করেছেন, যাদের বাকি আছে তারা আজকালের মধ্যে কেনা শেষ করবেন।
ঢাকায় এখন বাসা-বাড়িগুলোর সামনে, অলিতে-গলিতে কিংবা গ্যারেজে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন আকৃতির গরু-ছাগল। এসব পশু ঘিরে শিশুদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ বেড়ে গেছে বহু গুণ।
কোরবানির পশুর সঙ্গে আনন্দে মেতেছে শহরের শিশুরা
শহুরে জীবনে গৃহপালিত পশু-পাখি তো দূরে থাক, কংক্রিট আর পিচ ঢালাইয়ের ভিড়ে মাটির দেখা পাওয়াই ভার।
রাজধানীতে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা ‘গরু একটি গৃহপালিত পশু, এটি ঘাস খেতে পছন্দ করে’, কিংবা ‘কাঁঠাল পাতা ছাগলের প্রিয় খাবার’ এসব পাঠ্য বইয়ের পাতায় পড়া আর রচনা হিসেবে পরীক্ষার খাতায় লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাসা বাড়ির নিচে একাধিক গরু-ছাগলের উপস্থিতি ছোট্ট শিশুদের দিয়েছে বাড়তি আনন্দ। গরু-ছাগলকে নিজ হাতে ঘাস, খড়, ভূসি, পানি খাওয়ানো এবং কাছে ঘেঁষার চেষ্টা তাদের উৎফুল্লতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুন।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলে মালিবাগে টুটুল লজে বেশ কয়েকজন শিশুকে দেখা গেলে নিজেদের বাসার আঙ্গিনায় গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য হুটপোটি করছে। হাতে কাঠাল পাতা নিয়ে গরুকে খাওয়াতে চেষ্টা করছে ওরা।
নয় বছর বয়সী সরকার জারাফ নিয়াজ বললো, আমাদের গরুটা অনেক ভালো, শান্ত। কাছে গেলেও গুঁতো দেয় না। আমরা ওকে খাওয়াতে পাড়ি, পানি দেই।
দশ বছরের কাজী রায়ান বলে, আমরা ওকে নিয়ে অনেক মজা করছি। কাল এই গরুকে কোরবানি দিয়ে দিলে আমাদের অনেক কষ্ট লাগবে।
ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডে দেখা গেলো কোরবানির পশুকে ঘিরে শিশু-কিশোরদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস। প্রতিটি বাসার সামনে একাধীক গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। শিশুকিশোরের রা তাদের নিয়ে উল্লাস করছে।
মানহা নামের এক শিশু বললো, এই প্রথমবার আমি বাবার সাথে হাঁটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নিজেই পছন্দ করে এই গরু কিনে এনেছি। বাসার নিচে গ্যারেজেই বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরাই নিজ হাতে খাবার দিয়েছি। অনেক আনন্দ লাগছে।
আগামীকাল শনিবার সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এদিন ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। অবশ্য জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ ছাড়াও ১১ ও ১২ তারিখেও কোরবানি করা যাবে।