ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৮:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জলের পাখি ‘ডাহুক’ হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ থেকে

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৮ পিএম, ২৬ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

জলের পাখি ‘ডাহুক’ এখন  বিপন্ন

জলের পাখি ‘ডাহুক’ এখন  বিপন্ন

ডাহুক পাখি সকলের কাছে একটি পরিচিত নাম। গ্রামাঞ্চলে এক সময় ছিল ডাহুক পাখির অবাধ বিচরণ। সকাল-সন্ধ্যা কিংবা মধ্যরাতে ভেসে আসতো ডাহুকের ‘কোয়াক-কোয়াক’ সুর। বাড়ির পুকুর, ডোবা-নালার কচুরিপানায়, ঝোঁপ-ঝাড় আর বেত বনে ছোটাছুটি করতো ওরা। ঘুরে বেড়াতো দল বেঁধে। তবে এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না পরিবেশবান্ধব এ পাখির আনাগোনা। আবাসস্থল ধ্বংস, খাদ্য সংকট, শিকারীদের উৎপাতসহ নানা কারণে প্রকৃতি থেকে নীরবে সুন্দর এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিশারদরা।

ডাহুক (বৈজ্ঞানিক নাম: Amaurornis phoenicurus), ডাইক, পানপায়রা বা ধলাবুক ডাহুক Rallidae (রেলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত Amaurornis (আমুরর্নিস) গণের অন্তর্গত মাঝারি আকৃতির একটি পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।এটি সাধারণত মাঠের ভিতরে ও কচুরি পানা পুকুরেও ডিম পারে।

এদের দেহ কালচে এবং মুখমণ্ডল, গলা, বুক ও পেট সম্পূর্ণ সাদা। অন্যসব ঝিল্লির তুলনায় এরা বেশ সাহসী। ফলে মানববসতির আশেপাশে এদের প্রায়ই দেখা যায়। স্বভাবে এরা ক্রেপাসকুলার। প্রজননকালীন সময়ে বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে এরা উচ্চস্বরে বার বার ডাকে।

ডাহুকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ লাললেজী কালো পাখি (গ্রিক: amauros = কালচে, ornis = পাখি; লাতিন: phoenicurus = লাল লেজের গির্দি)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৮৩ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রিয় ডাহুক আমাদের পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির পাশের ডোবা কিংবা ঝোঁপে আগে হরহামেশা ডাহুক পাখির দেখা মিলতো। এখন ‘কালেভদ্রে’ও সুন্দর এ পাখি চোখে পড়ে না। এ জন্য দায়ি আমরাই।