সংকট নেই, তবুও চালের দাম বাড়তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার
কোনো সংকট নেই, তবুও চালের দাম বাড়তি
বোরোর ভালো উৎপাদনের ফলে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চালের দাম। ভরা মৌসুমে কম দামে পাওয়ার বদলে বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের। বোরোর নতুন চাল বাজারে ওঠার পর যে সরু চালের দাম কমে ৭৫ টাকা হয়েছিল, এখন তা বেড়ে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় পৌঁছেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভালো উৎপাদনে পণ্যের দাম কমে আসে- এ সমীকরণে এখন আর বাজার চলছে না। বোরোর সন্তোষজনক উৎপাদনে চালের দাম যেখানে কমার কথা, সেখানে উল্টো বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা মজুদ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ধান-চাল মজুদ করছে এবং বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ধান-চালের বাজারে নজরদারির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকাও দুর্বল। আর এর সুযোগ নিয়ে বারবার একই কায়দায় চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে দুষ্টু চক্রগুলো।
তিনি জানান, ভালো উৎপাদনের পর সরু চালের দাম ৬২ থেকে ৬৪ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। সেখানে ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি ও মোটা চালের বাজারেও একই চিত্র। ধান-চালের বাজারে নজরদারি না বাড়ালে এগুলো বন্ধ হবে না।
ধান উৎপাদনে দেশে সর্বাধিক উৎপাদনশীল মৌসুম হচ্ছে বোরো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ টন। এখন পর্যন্ত যতটুকু অর্জিত হয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী অর্জিত হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টন।
