তানজানিয়ায় জন্মদিন কাটালেন মালালা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫ শনিবার
মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে তানজানিয়ায় জন্মদিন কাটালেন মালালা তানজানিয়ায় মালালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তানজানিয়ায় নিজের ২৮তম জন্মদিন উদযাপন করছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। সে দেশে তিনি মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়া মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
এটি মালালার তানজানিয়ায় প্রথম সফর, যেখানে তিনি স্থানীয় শিক্ষা কর্মী এবং মালালা ফান্ডের অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সফরের মাধ্যমে তিনি তানজানিয়ায় মেয়েদের মানসম্মত শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছেন।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সফর মালালা ফান্ডের পূর্ব আফ্রিকায় মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসারে অবিচল প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সফরের সময় মালালা স্থানীয় শিক্ষা নেতাদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, নিজের অভিজ্ঞতা, নীতিগত অগ্রাধিকার এবং শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে ভাবনার কথা শেয়ার করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে মালালা এই সফরের আনন্দ ও অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি পাকিস্তানে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, কীভাবে শ্রেণিকক্ষ ছিল তার জন্য আশ্রয়স্থল এবং কীভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া তাকে এবং তার বন্ধুদের তাদের অধিকার ফিরে পেতে লড়াই করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তানজানিয়ার মেয়েদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে ফিরে গিয়ে সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে এবং এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও গভীরভাবে অনুভব করিয়েছে।
মালালা লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে বড় হওয়ার সময় শ্রেণিকক্ষ ছিল আমার প্রিয় জায়গা। শিক্ষা আমাকে আশা দিয়েছিল। যখন সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, তখন আমার বন্ধুরা ও আমি তা ফিরে পেতে আওয়াজ তুলেছিলাম। আজ আমি শ্রেণিকক্ষে তানজানিয়ার মেয়েদের সঙ্গে ছিলাম, যারা আমাকে সেই স্কুল জীবনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে এবং কেন এই লড়াই এখনো গুরুত্বপূর্ণ, তা মনে করিয়ে দিয়েছে।’
সফরের অংশ হিসেবে মালালা এমন একটি স্কুল পরিদর্শন করেছেন, যা একটি কর্মসূচির সহায়তায় পরিচালিত হয়, যেখানে কিশোরী মায়েদের পুনরায় স্কুলে ফিরতে সহায়তা করা হয়। ২০২২ সাল থেকে মালালা ফান্ড এই কর্মসূচিকে সহায়তা করে আসছে।
মালালা তানজানিয়ার উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেছেন, যেখানে প্রতি পাঁচ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় দুই জন ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিবাহিত হয় এবং প্রতি চার জনের মধ্যে একজন ১৯ বছর হওয়ার আগেই মা হয়ে যায়।
এই কর্মসূচির অধীনে পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সামগ্রী এবং সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ৪০০-এর বেশি মেয়েকে স্কুলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মালালা বলেন, ‘স্কুল পরিদর্শন করা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করা এবং মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ করে তোলা সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে শেখা ছিল আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়।’
