গাজায় প্রতিদিন ২৮ শিশুর মৃত্যু, যুদ্ধবিরতির জোর দাবি ইউনিসেফের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রতীকী ছবি।
বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় শিশুদের দুর্দশা সীমাহীন রূপ নিয়েছে। যুদ্ধ, ক্ষুধা এবং মানবিক সেবার অভাবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অসংখ্য শিশু। এই হৃদয়বিদারক পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
সোমবার (৪ আগস্ট) ইউনিসেফ জানায়, গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশু নিহত হচ্ছে। মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা এবং মৌলিক সেবা ভেঙে পড়ার কারণে এ মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইউনিসেফ বলছে, এই শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে ‘বোমা হামলায়, অপুষ্টিতে, অনাহারে এবং সহায়তার অভাবে’।
সংস্থাটি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে লিখেছে, “গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮টি শিশু মারা যাচ্ছে। এদের প্রয়োজন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও নিরাপত্তা। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে—একটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি।”
ইউনিসেফের এই বিবৃতি এমন এক সময় এসেছে, যখন আন্তর্জাতিক মহলের একের পর এক যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬১,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।
গাজার অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা—সবকিছু ভেঙে পড়েছে। খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় এই ভূখণ্ড এখন দারুণ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। ইউনিসেফ বলছে, শিশুরা এখন শুধু যুদ্ধের গোলায় নয়, বরং ক্ষুধা এবং চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ঢুকতে পারছে না, ফলে লাখো শিশুর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউনিসেফ আবারও আহ্বান জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার যুদ্ধবিরতি, এখনই!”
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই পরিস্থিতি কেবল শিশুদের বর্তমান জীবনই নয়, ভবিষ্যতও ধ্বংস করছে। যুদ্ধের ভয়াবহ ছাপ, মানসিক ট্রমা ও অপুষ্টিজনিত রোগে শিশুদের একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
