ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৫:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রয়টার্সকে বিশ্বাসঘাতক বলে পদত্যাগ করলেন নারী সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৫ বুধবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কানাডীয় ফটোসাংবাদিক ভ্যালারি জিঙ্ক পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগের আগে তিনি রয়টার্সকে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গাজার সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডে রয়টার্সের ভূমিকা ও তাদের মিথ্যে-সাজানো খবর প্রচারের মাধ্যমে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তার এই পদত্যাগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পদত্যাগ ঘোষণার সময় ভ্যালারি তার রয়টার্স প্রেস কার্ড ছিঁড়ে ফেলে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘রয়টার্স আজ একটি সংবাদ সংস্থা নয় বরং প্রোপাগান্ডার কনভেয়ার বেল্টে পরিণত হয়েছে, যা সাংবাদিকদের মৃত্যুর পথ সুগম করছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে ভ্যালারি লিখেছেন, ‘গাজার সাংবাদিকদের পরিকল্পিত হত্যাকে সমর্থন ও বৈধতা দেওয়ায় রয়টার্সের সঙ্গে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার কাছে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ ঢাকতে কাজ করে যাচ্ছে।’

ভ্যালারি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘গাজার নাসের হাসপাতালে তথাকথিত ‘’ডাবল-ট্যাপ’’ হামলায় অন্তত ৬ সাংবাদিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়টার্সের নিজস্ব ক্যামেরাম্যান হোসাম আল-মাসরিও ছিলেন। এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।’

ভ্যালারি আরও উল্লেখ করেন, রয়টার্সের ইসরায়েলি প্রচারণা চালানোর এই প্রবণতা তাদের নিজেদের সাংবাদিকদেরও ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পারেনি।’

তিনি গাজার সাংবাদিকদের সাহসিকতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘গাজার সাংবাদিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানানোর পথ কী, তা আমি জানি না। ফিলিস্তিনে আমার সহকর্মীদের কাছে আমি অনেক ঋণী।’

তবে, ভ্যালারি অভিযোগ করেন, রয়টার্স ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো ইসরায়েলের সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি যাচাই না করেই প্রচার করছে। এর ফলে আল-শরিফ নামের এক স্থানীয় সাংবাদিককেও হামাস-সংশ্লিষ্ট বলে উপস্থাপন করা হয়। তার মতে, এটি সাংবাদিক হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার এক বিপজ্জনক কৌশল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ২৪৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজার ৭০০ জনে। এদিকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।