ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১১:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগ্রহিত।

ছবি: সংগ্রহিত।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

সবজি, মাছ ও মাংসের বাজারে যেন 'আগুন' লেগেছে। বেড়েছে মসলার দামও। কদিন আগেই পেঁপের কেজি ছিল ৪০ টাকা, বতর্মানে তা ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়েছে করলা, লাউ, ধুন্দুল, বরবটিসহ আরও অনেক সবজির। ফলে সবজি কেনা এখন সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য।

আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও শান্তিনগর এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর বাজারে দিন দিন মাছ- মাংসের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাজার করতে গিয়ে খেটে-খাওয়া মানুষ পড়ছেন বিপাকে। গরু ও মুরগির মাংসের দাম সহসাই কমার কোনো ইঙ্গিত নেই, আবার মাছের বাজারেও যেন লেগেছে আগুন। 

এদিকে গরু ও খাসির দাম স্থির থাকলেও তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেক বাইরে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পকেটে চাপ বাড়ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক মাসে মুরগি ও মাছের দামে ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে, অথচ গরু-খাসির দাম স্থির থাকলেও সেটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। বাজারে বিক্রেতারা যেখানে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন, সেখানে ক্রেতারা বলছেন—যতদিন পর্যন্ত কার্যকর বাজার তদারকি না হবে, ততদিন সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে মুরগি ও মাছের দাম ক্রমবর্ধমান। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০–৩০ টাকা বেড়ে ১৮০–২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজিতে এখন ২৯০–৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকার ওপরে। এছাড়া আজকের বাজারে গরুর মাংস কেজি ৭৫০–৭৬০ টাকায় এবং খাসির মাংস কেজি ১,১০০–১,১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত এক মাসে এ দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছের বাজারেও একই চিত্র। বাইলা মাছ কেজি ৮৫০ টাকা, ট্যাংরা ৮০০, চিংড়ি ১,০০০, পাবদা ৪০০, তেলাপিয়া ২৫০ এবং পাঙাস ২০০–২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত মাসে বাইলা ছিল ৭৫০, টেংরা ৭৫০, পাবদা ৩৫০, চিংড়ি ৯০০, তেলাপিয়া ২১০–২২০, আর পাঙাস ১৮০–১৯০ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে অধিকাংশ মাছের দাম কেজিতে ৪০–৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মাছ বিক্রেতা করিম মিয়া বলেন, বর্ষার কারণে নদীতে মাছ কম ধরা পড়ছে, খামারিদের খরচও বেড়েছে। এজন্যই দাম বাড়ছে। আমাদেরও কিছু করার নেই।

মালিবাগ বাজারে কথা হয় মমিনা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, যা ধরি তাই প্রচুর দাম। কিছুই কিনতে পারছি না। আগে সবজি ও শাক কিনতে পারতাম স্বল্প দামে। এখন তাও সম্ভব নয়। এখন দেখছি না খেয়ে মারা যেতে হবে।