ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যে কারণে নারীদের হার্ট ব্লকের সংখ্যা বাড়ছে

উইমেননিউজ ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হৃদরোগ এখন আর শুধুই পুরুষদের রোগ নয়, এটি নারীরও। এ দেশে নারীর মধ্যেও করোনারি আর্টারি ডিজিজ (সিএডি) বা হৃদযন্ত্রে ধমনি ব্লক হয়ে যাওয়া রোগ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।

সে কারণে নারীর মন ভালো রাখার পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই নারীর মধ্যে হার্ট ব্লকের ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে। 

এ বিষয়ে ভারতের কার্ডিওলজিস্ট ডা. হেমামালতি রথ বলেছেন, নারীর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে— সিএডি। আর আশঙ্কার বিষয় হলো— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের পেছনে বংশগত ঝুঁকি থেকে শুরু করে একাধিক শারীরিক ও মানসিক কারণ জড়িয়ে আছে।

সাধারণত নারীরা সিএডিতে আক্রান্ত হলে পুরুষের তুলনায় বয়স বেশি হয় এবং একাধিক রকমের কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি তাদের শরীরে আগে থেকেই উপস্থিত থাকে। পুরুষের থেকে প্রায় ১০ বছর বয়সে পিছিয়ে থাকলেও ধূমপান, ডায়াবেটিস এবং অকাল মেনোপজ নারীর শরীরের ন্যাচারাল ডিফেন্স মেকানিজম বা সুরক্ষা ধ্বংস করে দেয়। ফলে অসুখ বাড়তে থাকে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীর সিএডি-তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় সাতগুণ বেশি। এর পাশাপাশি ধূমপান নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। ফলে নারীরা পুরুষের তুলনায় আরও তাড়াতাড়ি ও ভয়ঙ্কর রকমের হার্ট অ্যাটাকের মুখোমুখি হন।

নারীর হৃদরোগের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিশেষ রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে থাকে। যে ফ্যাক্টরগুলো পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় না কিংবা তুলনায় কম হয়। সেগুলো হলো—

১. মেনোপজ বা ঋতু বন্ধের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া, যা শরীরকে ঠিকমতো সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ব্যাহত হয় সেই প্রক্রিয়া।

২. গর্ভাবস্থায় জটিলতা। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

৩. অটোইমিউন ডিজিজ। যেমন রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস ও সিস্টেমিক লুপাস। এসব উপসর্গ নারীর হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

৪. মাইগ্রেন ও দীর্ঘস্থায়ী অবসাদ।

৫. অকাল মেনোপজ।

৬. অকাল প্রসব।

৭. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।

৮. রক্ত স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া।

নিম্ন-আর্থসামাজিক স্তরের নারীর মধ্যে হৃদরোগের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। একই সঙ্গে আধুনিক জীবনের দ্রুতগামিতা, শহুরে একাকীত্ব, কর্মজীবী নারীর প্রচণ্ড মানসিক চাপ— সব মিলিয়ে ডিপ্রেশন এখন নারীর জীবনে নিত্যসঙ্গী, যা নারীর হৃদরোগের একটি বড় কারণ।