ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নোমানসহ ২ নারী গ্রেফতার

উত্তরা প্রতিনিধি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নোমানসহ ২ নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এএইচএম নোমান রেজা, তানজিল হোসেন, ফারিয়া আক্তার তমা।

তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আব্দুল মালেক খান জানান, অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মো. আতিকুর রহমান খান জানিয়েছেন, বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় প্রবেশ করে তিনজন ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন। সেখানে দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে ‘মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে’ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে দিলেও গত শুক্রবার বিকাল ৪টার মধ্যে বাকি টাকা দিতে বলেন আসামিরা। তারা পরিবারটিকে নানারকম হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে পরিবারটি।

ঘটনার পর রাতেই বিমানবন্দর থানার সামনে থেকে নোমান রেজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে পরে তানজিল ও তমাকে উত্তরার জসিম উদ্দিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, নোমান ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিমানবন্দর থানার সাবেক সদস্য সচিব। সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে উত্তরায় দাপিয়ে বেড়ানো এই নোমানের টার্গেট ছিল বড় বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের মামলার ভয় দেখিয়ে এবং মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার নামে সে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করত। চাঁদার টাকা না দিলে মারধর ও পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিত নোমান ও তার সঙ্গীরা।

নোমানের ট্রাফিকের সুপারভাইজার এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি করাই ছিল তার কাজ। 

এখানেই শেষ নয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী নারী জানান, তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় নোমান নিজে সঙ্গে থেকে পুলিশ নিয়ে এসে ওই নারীর স্বামীকে ধরিয়ে দেন।