ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১৫:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘আপু’ ডাকায় রোগীকে অভিভাবকসহ বের করে দিলেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ডা. মারজিয়া খাতুন।  

ডা. মারজিয়া খাতুন।  

শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ‘আপু’ ডাকায় উত্তেজিত হয়ে অভিভাবকসহ এক রোগীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী রোগীর অভিভাবক শহরের নয়নী বাজার মহল্লার কাজী মাসুম জানান, বেলা দুইটার দিকে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মামিয়ার প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্যা তাকে জরুরি কিছু ওষুধ লিখে দেন। 

তিনি বলেন, হাসপাতালে ওষুধগুলো না পেয়ে বাইরের বিভিন্ন দোকানে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে একটি ওষুধ না পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবারও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন আগের চিকিৎসক ডিউটি শেষ করে চলে গেছেন। পরে ডা. মারজিয়া খাতুনকে প্রেসক্রিপশনটি দেখিয়ে ‘আপু’ সম্বোধন করে সংশ্লিষ্ট ওষুধটি কোথাও না পাওয়ার বিষয়ে জানান তিনি। 

এ সময় ওই অভিভাবকের ‘আপু’ সম্বোধন শুনে ক্ষেপে গিয়ে ডা. মারজিয়া বলেন, ‘আমাকে আপু ডাকছেন কেন? আমি মেডিকেল অফিসার। যান, বের হয়ে যান আমার রুম থেকে।’ 

হতভম্ব ওই রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘আপু ডেকে কি দোষ করেছি?’ এতে আরও রাগান্বিত হয়ে কয়েক দফা ধমক দিয়ে রুম থেকে বের করে দেন ওই চিকিৎসক। 

ঘটনাটি জানার পর বেলা তিনটার দিকে বিস্তারিত জানার জন্য জেলার সংবাদকর্মীরা সরাসরি ওই চিকিৎসকের কক্ষে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও সঙ্গে কোনো কথা বলব না।’ 

জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তাহেরাতুল আশরাফি মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, হয়তো ভুলক্রমে তিনি এ কথা বলেছেন। তবে আমাদের অফিসিয়ালি অভিযোগ বা সরাসরি কথা বললে শনিবার আসতে হবে।’

এদিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের এমন আচরণে উপস্থিত অনেক রোগী এবং তার অভিভাবকরা একই অভিযোগে তোলেন ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তারা বলেন, শুধুই ডা. মারজিয়াই নয়, হাসপাতালে কর্তব্যরত অধিকাংশ চিকিৎসকই এমন আচরণ করেন রোগী এবং তার অভিভাবকদের সঙ্গে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মুহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের কথা বা রুম থেকে কাউকে বের করে দেওয়া উচিত নই। হাসপাতালে গ্রাম থেকে শহর সব পর্যায়ের লোকজন আসবে, তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের সুযোগ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে সঙ্গে কথা বলেছি।’