ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৭:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সপ্তম আশ্চর্যের মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে মাচু পিচু, জানা গেল কারণ

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

পেরুর ঐতিহাসিক ইনকা নগরী মাচু পিচু এবার নতুন সংকটের মুখে। পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড়, সীমিত সংরক্ষণ নীতি ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে এই বিশ্বখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি এবার বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের (নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড) মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স প্রকল্প।

২০০৭ সালে বিশ্বের কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষের ভোটে মাচু পিচু নির্বাচিত হয়েছিল নতুন সাত আশ্চর্যের একটি হিসেবে। কিন্তু নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সের দাবি, এখন এ মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে পেরুর শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘এই উপাধির মানে হচ্ছে সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলার প্রতিশ্রুতি।' খবর সিএনএনের।

সম্প্রতি পরিবহন রুট নিয়ে বিরোধের জেরে বিক্ষোভের কারণে মাচু পিচুর পথে হাজারো পর্যটক আটকে পড়েন। স্থানীয়রা বাস রুটের কনসেশন নিয়ে প্রতিবাদে ট্রেনলাইন অবরোধ করলে অন্তত এক হাজার ৪০০ পর্যটককে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে ৭২ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সরাসরি নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সের মন্তব্যে সাড়া না দিলেও জানায়, মাচু পিচু ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় আছে এবং এর সংরক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জুলাইয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বৈঠকে ভিজিটর ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপের প্রশংসাও করা হয়েছে।

অন্যদিকে, পেরুর বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই তারা পর্যটন সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে সমাধানের পথ খুঁজতে। 

নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সের পরিচালক জ্যঁ-পল দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘এটি কোনো হঠাৎ সংকট নয়, বহু বছর ধরে জমে থাকা সমস্যার ফল।' সংস্থার মতে, অতিরিক্ত পর্যটন চাপ, খরচ বৃদ্ধি, ঐতিহাসিক নিদর্শনের ক্ষতির ঝুঁকি, টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম, পরিবহন সমস্যাসহ দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণনীতি এই জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্যাব্রিসিও ভ্যালেন্সিয়ার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর মাচু পিচুতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা হবে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।