ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৩:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করতে চান নিগার

ক্রীড়া ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সে অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ নারী দল। 

আইসিসির ওয়েবসাইটে এ নিয়ে লেখা কলামে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন বিশ্বকাপে দলের প্রত্যাশা আর প্রস্তুতির কথা। নিগারের কলামটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো—

আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলব, নিঃসন্দেহে দারুণ এক টুর্নামেন্ট হবে। আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত ও আশাবাদী। এবার যেন বিশেষ কিছু করতে পারি, সেটাই প্রত্যাশা।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডে। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। গতবার পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে আমরা ইতিহাস গড়েছি। সেই ম্যাচ আমি কখনো ভুলব না।

ফারজানা হক সেদিন সর্বোচ্চ রান করেছিল। সে এবারও দলে আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে সে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ শারমিন আক্তারও, ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে সে দারুণ মানিয়ে নিয়েছে। পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শারমিন আমাদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

স্পিনারদেরও বেশ বড় অবদান ছিল আমাদের সাফল্যে। আশা করি, তারা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়ও একইভাবে সফল হবে, যেমনটা হয়েছিল পাকিস্তানে।

নাহিদা আক্তার ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে আমাদের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। নাহিদা ২০২২ বিশ্বকাপ দল থেকে ফেরা সাত খেলোয়াড়ের একজন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখনো দেশের হয়ে খেলার সুযোগ না পাওয়া নতুনদের সঙ্গে তারা সবাই নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবে।

শারমিন আক্তারের জন্য এবারের আসর বিশেষ কিছু। আগের আসরে সে ছিল রিজার্ভ খেলোয়াড়, এবার বিশ্বকাপে অভিষেকের সুযোগ পাচ্ছে।

দলে আরও কিছু নতুন মুখ রয়েছে। তাদের মধ্যে রুবিয়া হায়দারের এখনো এক দিনের ম্যাচে অভিষেকই হয়নি। বিশ্বকাপে হয়তো সে প্রথম মাঠে নামবে, পাশাপাশি আমাকে উইকেটকিপার হিসেবেও সহায়তা করবে।

অভিজ্ঞ রিতু মনির সঙ্গে আমাদের দলে আছে তারুণ্যদীপ্ত কয়েকজন অলরাউন্ডার—স্বর্ণা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার ও রাবেয়া খাতুন। তারা সবাই প্রতিভাবান ক্রিকেটার।

সুমাইয়া এবং নিশিতা আক্তার এ বছর আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে। ১৭ বছর বয়সী নিশিতা আমাদের জন্য এক অসাধারণ সম্ভাবনা। মারুফা আক্তারেরও এটাই হবে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সে এরই মধ্যে অনেকের নজর কেড়েছে, আশা করি সেটা আরও বাড়বে।

গত কয়েক মাসে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্বজুড়ে থাকা আমাদের ভক্তদের কাছে দোয়া চাইছি।