জাপানে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তাকাইচি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রবিবার
সানায়ে তাকাইচি।
জাপান এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে এসেছেন সানায়ে তাকাইচি। তিনি বর্তমানে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর নেতৃত্ব নির্বাচনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। জাপানে নারী নেতৃত্ব এখনও বিরল, তাই এই নির্বাচন রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আগামী ৪ অক্টোবর এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনী ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সানায়ে তাকাইচি এবং কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। গত বছর বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার কাছে রানঅফ রাউন্ডে অল্পের জন্য হেরে যান তাকাইচি। এবার যদি তিনি দল এবং সংসদীয় ভোটে জয় পান, তবে তিনিই হবেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দেশটিতে লিঙ্গ সমতার সীমিত অগ্রগতির মধ্যে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে।
তাকাইচি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে অনুপ্রেরণা হিসেবে মানেন। যদিও আগে তিনি নারী অধিকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। সম্প্রতি তিনি বেবিসিটার ফি আংশিক কর-ছাড়যোগ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং শিশু পরিচর্যা পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব এনেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনবার নার্সিং ও কেয়ারগিভিং-এর অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তাকাইচি সমাজে এমন পরিবর্তন চান, যাতে সন্তান লালন-পালন বা যত্নের কারণে নারীদের চাকরি ছাড়তে না হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় ‘গ্লাস ক্লিফ’ পরিস্থিতির প্রতিফলন—যেখানে সংকটের সময়ে নারীদের নেতৃত্বে ঠেলা হয়, ব্যর্থতার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও। এলডিপি বর্তমানে সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই ক্ষমতায় আছে। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আইন, বাজেট ও অর্থনৈতিক প্যাকেজ পাসে বিরোধী দলের সঙ্গে কঠিন সমঝোতায় যেতে হবে।
নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোকো তাকেদা বলেন, যদি তাকাইচি ব্যর্থ হন, মানুষ বলবে—আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হয়নি। তখন তাকাইচিকে গ্লাস ক্লিফ থেকে ফেলে দেওয়া হবে এবং তিনি আর উপরে উঠতে পারবেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিনজিরো কোইজুমির পেছনে তার বাবা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির সমর্থন থাকলেও তাকাইচির এমন পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব নেই, যা তার জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি
