ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫২:২৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কী কী

উইমেননিউজ ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২১ এএম, ১ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার মূল কারণ হলো এর প্রদাহ। বিশ্বে আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (বাত ব্যথা) একটি পরিচিত এবং অন্যতম রোগ।

রোগের উপসর্গ

এই রোগে সাধারণত হাত ও পায়ের ছোট জোড়াগুলো বেশি আক্রান্ত হয়। প্রায়ই দুই পাশের জোড়াতে (ডান ও বাম) সমানভাবে ব্যথা হয়। বড় জোড়া, যেমন– কনুই, কাঁধ, হাঁটু ও গোড়ালিও আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। এ রোগের ব্যথা বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায় এবং কাজ করলে কিছুটা কমে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আক্রান্ত জোড়াগুলো প্রায়ই ফুলে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠলে আক্রান্ত জোড়াগুলো শক্ত মনে হয় এবং এই শক্ত ভাব এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকতে পারে। নড়াচড়া করার পর এই শক্ত ভাব কিছুটা কমে আসে। ব্যথার পাশাপাশি রোগীর জ্বর আসতে পারে। শরীরের ওজন কমে যাওয়া এবং আক্রান্ত জোড়ার কাছাকাছি মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে পারে।

এই রোগে রক্তশূন্যতা, প্লিহা বড় হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া এবং হৃৎপিণ্ড বা শ্বাসযন্ত্রের পর্দায় অসুবিধা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন রোগ থাকলে শরীরের জোড়াগুলো তার স্বাভাবিক আকৃতি হারিয়ে ফেলতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের অক্ষমতা দেখা দেয় এবং রোগী সম্পূর্ণরূপে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।

চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা

চিকিৎসার শুরুতে রোগীকে রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝাতে হবে। অর্থাৎ জানাতে হবে যে রোগটি পুরোপুরি সেরে যাবে না। তবে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পঙ্গুত্বের মতো মারাত্মক ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগীকে আরও গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা করতে ডিএমআরডি জাতীয় ওষুধ দিতে হবে। প্রয়োজনে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত ও পরিমিত ব্যায়াম এ রোগের জন্য খুবই জরুরি। কিছু ফিজিওথেরাপি, যেমন ওয়াক্সবাথ বা কেমোথেরাপি, সাউন্ডথেরাপি এবং হাইড্রোথেরাপিও বেশ উপকারী। রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য রোগীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তিনি পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা পান।