ইসরায়েলকে সমর্থন, আন্তর্জাতিক আদালতে মেলোনির বিরুদ্ধে অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দায়ের করা একটি অভিযোগে তাকে ‘গণহত্যায় জড়িত থাকার’ বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় বোমাবর্ষণে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় রোমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থা আরএআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেলোনি এ কথা জানান। আইসিসিতে ইতালি সরকারকে অভিযুক্ত করার বিষয়ে এটাই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আইসিসি এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
মেলোনি আরও জানান, আইসিসিতে ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানির ‘সমালোচনা’ করা হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করছেন, অভিযোগে দেশটির অস্ত্র ও মহাকাশ সংস্থা ‘লিওনার্দোর’ প্রধান রবার্তো সিঙ্গোলানির নামও থাকতে পারে।
টেলিভিশনে সম্প্রচার করা সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মেলোনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে পৃথিবীতে বা ইতিহাসে এ ধরনের অভিযোগের আর কোনো নজির আছে।’
১ অক্টোবর এ অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে প্রায় ৫০ জন আইনের অধ্যাপক, আইনজীবী, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ প্রায় ৫০ জন সই করেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা মেলোনি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।
ইতালির নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকারকে সমর্থন করার মধ্য দিয়ে, বিশেষ করে মারাত্মক অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইতালির সরকার গাজায় চলমান গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অত্যন্ত গুরুতর যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’
এএফপির প্রতিবেদনের তথ্য, ফিলিস্তিনের একটি অধিকার সংগঠন জর্জিয়া মেলোনির বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছে। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চালানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা হয়।
গত মাসে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী জাতিগত নিধন (জেনোসাইড) চালাচ্ছে। এর আগে মানবাধিকার, গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞরাও একই ধরনের মতামত দিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসি এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর মধ্যে দুর্ভিক্ষ তৈরি, হত্যা ও মারাত্মক দমন–পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
তবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগ আনা হয়নি। আইসিসি হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যদিও অভিযোগে নাম থাকা হামাসের সেসব নেতার সবাই পরবর্তী সময় গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত হয়েছেন।
