ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৫:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিক্ষার মানে অবনমন, প্রতি বছরই কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের উচ্চশিক্ষার মানে দিনদিন অবনমন ঘটছে। একই সঙ্গে নেই গবেষণার সুযোগ। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়েও থাকছে পিছিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৬’-এ প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ২৭ ও পাকিস্তানের আট বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলাদেশের নেই একটিও।

মানসম্পন্ন শিক্ষার ঘাটতি, চাকরির অনিশ্চয়তা ও ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিরতাও বিদ্যমান। তুচ্ছ কারণেই থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এসব কারণে প্রতি বছরই বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে কম আগ্রহের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়েই নূন্যতম এক জন বিদেশি শিক্ষার্থীও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের শিক্ষার মান নিম্নগামী হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষাবিদরা ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। দেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেলেও প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না। বিশ্বব্যাংকের ‘হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স’-এর ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের এক জন শিক্ষার্থী ১০ বছর দুই মাস শিক্ষাজীবন শেষে অর্থাত্ একাদশ শ্রেণিতে যা শিখছে, তা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ছয় বছরের (ষষ্ঠ শ্রেণির) দক্ষতার সমান। অর্থাত্ দশম-একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানে ষষ্ঠ শ্রেণির দক্ষতাও অর্জন করতে পারেনি। এর আগের ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে এই দক্ষতার স্তর ছিল ছয় বছর পাঁচ মাস বা সপ্তম শ্রেণির সমান। এ থেকে স্পষ্ট হয়, ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার মানে অবনমন ঘটেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ২০২২ সালের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা শেষে মাতৃভাষা বাংলায়ই অর্ধেক শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলেও শিক্ষার মানের একটা চিত্র বেরিয়ে আসে। ঐ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ শতাংশ অকৃতকার্য। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটেও ৯০ শতাংশের বেশি ভর্তি ইচ্ছুক ফেল করেছেন।   পৃষ্ঠা ২ কলাম ২

এই দুই ইউনিটের পরীক্ষায় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া ১ লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। পেশাজীবীদের অ্যামপ্লয়মেন্ট পাসের জন্য সিংগাপুরে ৪০ নম্বর নির্ধারিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ নম্বর রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতায়। ঐ স্নাতকের অ্যামপ্লয়মেন্ট পাশ নবায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিংগাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাজ্যের মান অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি স্নাতক সমমানের। আর বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক ডিগ্রি ফাউন্ডেশন কোর্সের সমমানের। এ কারণে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় তিনি কোনো নম্বর পাননি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত স্নাতক সনদকে সিংগাপুর কর্তৃপক্ষ ‘ডিপ্লোমা’ হিসেবে গণ্য করছে। অনেক দেশেই এখন বাংলাদেশের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে স্নাতক মানের ধরা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৭১ ও ছাত্র ৪৬২। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭০ জন। সেই হিসেবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৩৭ জন। ২০১৮ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ৮০৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। আর ২০২১ সালে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর এই সংখ্যা ছিল ৬৭৭ জন। অর্থাত্, ধারাবাহিকভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী। গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ৮০৪ জন এবং ২০১৬ সালে সবচেয়ে কম ৩৫৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে দিনাজপুরে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে বিদেশি শিক্ষার্থী আছে ১১২ জন। ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৯১ জন। গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ জন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬ জন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত জন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ জন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬ জন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই জন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ে এক জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই জন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ১৫ জন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন।

দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে। ২০২৩ সালে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৮২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬২৪ ও ছাত্রী ২০২ জন। ২০২২ সালে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৭। অর্থাত্, এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৪৬১ জন। এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৯৭৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২০২২ সালেও এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৮৭। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসাদের মধ্যে চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন উল্লেখযোগ্য। পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (অধিভুক্ত কলেজ ও মাদ্রাসাসহ) বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী ৪৮ লাখ ২১ হাজারের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৬ লাখ ৯১ হাজার। ২০২২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। আর ২০২৩ সালে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জনে।

দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় ধারাবাহিক সংস্কার না হওয়া, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ঘাটতি, বিদ্যমান পাঠ্যক্রম—সব মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা মুখস্থনির্ভর পড়াশোনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে, যা বাস্তব জীবনের জ্ঞান অর্জনে সহায়ক নয়। আবার অনেক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা, শ্রেণিকক্ষে অনিয়মিত পাঠদান এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার অভাবও মান অবনতির বড় কারণ বলে মনে করেন তারা। শিক্ষাবিদরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন আর সহিংসতার ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে না পারলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আরো মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক জন অধ্যাপক বলেন, দেশে একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও আকর্ষণ করতে পারছে না বিদেশি শিক্ষার্থীদের। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও এই সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে জটিলতাই তাদের অনাগ্রহের বড় কারণ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে যেতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই দিক থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে আছে।

শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র‍্যাংকিং করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’। এবারের র্যাংকিংয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩ হাজার ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। শীর্ষে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় সেরা ৮০০-এর মধ্যে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২৭টি। এর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। আর এই সীমায় পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে কায়েদ ই আজম বিশ্ববিদ্যালয়। সব মিলিয়ে দেশটির আটটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৮০০-এর মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের সেরা অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ড্যাফোডিল ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে রয়েছে। একই সীমার মধ্যে দ্বিতীয় গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একই সামীর মধ্যে রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), অষ্টম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নবম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দশম স্থানে রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।