সারাবিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশ কী ভূমিকা রাখতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:০৫ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনিদের সংহতি জানিয়ে গাজার উদ্দেশে ফ্রিডম ফ্লোটিলার জাহাজ নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. শহিদুল আলম বলেছেন, ‘আমি গেছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনাদেরও সঙ্গে নিয়ে গেছি। যেভাবে আপনারা সমর্থন করেছেন, ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সেটা অসাধারণ। বাংলাদেশ যেভাবে সাড়া দিয়েছে, এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছে– আমরা কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারি।’
গতকাল শনিবার দেশে ফিরে বিকেল ৩টায় পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যা, ইসরায়েলের মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ভাঙার উদ্দেশ্যে তাঁর যাত্রা ও আটক থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৃকের পরিচালক রেহনুমা আহমেদ, দৃকের জেনারেল ম্যানেজার এএসএম রেজাউর রহমান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাব। তিনি সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন।
এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক এ বাংলাদেশি আলোকচিত্রী মুক্ত হয়ে গতকাল শনিবার ভোরে তুরস্ক হয়ে ঢাকায় পৌঁছান। ইসরায়েলের সেনাদের হাতে আটকের আগে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের জাহাজ দ্য কানসায়েন্সে ছিলেন তিনি।
দ্রুত দেশে ফেরার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শহিদুল আলম বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, শক্তিশালী ও জোরালো ভূমিকা রেখেছেন, সেটাও অসাধারণ। কারণ, যেখানে অনেক বড় বড় দেশের নেতারা নীরব থেকেছেন, সেখানে তিনি কথা বলেছেন। এটা বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করেন।
বন্দিত্বের অভিজ্ঞতা
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বন্দি অবস্থায় মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি আর অপমানের অভিজ্ঞতা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে শহিদুল আলম বলেন, শারীরিক নয়, আমাদের ওপর সবচেয়ে বেশি করা হয়েছে মানসিক নির্যাতন। আটকের পর পেছনে হাত বেঁধে হাঁটুমুড়ে বসিয়ে রাখে এক জায়গায়, যেখানে আগে সেনারা মূত্রত্যাগ করেছিল। তিনি জানান, ইসরায়েলের সেনারা তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট মাটিতে ফেলে দেয়। যতবার তিনি সেটা তুলেছেন, ততবারই তারা তাঁর ওপর চড়াও হয়েছে।
শহিদুল আলম জানান, তাদের সবাইকে মরুভূমিতে ইসরায়েলের একটি গোপন কারাগারে রাখা হয়। সেখানে আতঙ্ক তৈরি করতে মাঝরাতে সেনারা সেলের মধ্যে ঢুকে পড়ত; চিৎকার করে নানা আদেশ দিত। সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য। তিনি জানান, বন্দিদের অনেকেই অনশন করেছিলেন। ঘুমানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল লোহার বিছানা। শৌচাগারের অবস্থাও ছিল অত্যন্ত নোংরা।
