দুই বিশ্ববিদ্যালয় সংঘর্ষ: ড্যাফোডিলের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৩৭ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
সাভারে গত সোমবার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এতে গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, ভবন ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্মার্ট সিটি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আমিনুল ইসলাম এ অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে গঠিত ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।
সংঘর্ষের পর এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও, গাড়িতে আগুন লাগানো ও ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনের ছুটি থাকায় সেখানে চরম নিরবতা বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা কর্মী ব্যতীত কাউকে দেখা যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সাভারের খাগান এলাকায়, যেখানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ব্যাচেলর প্যারাডাইসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী রাস্তায় থুথু ফেলে এবং তা ওই শিক্ষার্থীর শরীরে পড়ে। এরপর কথা কাটাকাটির পর হাতাহাতি হয়। উভয়পক্ষ একসময় গন্তব্যে চলে গেলেও পরবর্তীতে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর প্যারাডাইসের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
রাত ১২টার দিকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার উত্তেজিত শিক্ষার্থী সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালায়। তারা ভিসি অফিস, রেজিস্টার অফিস, প্রো-ভিসি অফিস, কনফারেন্স রুম, কম্পিউটার ল্যাব ও অ্যাকাউন্টস অফিস ভাঙচুর করে এবং ১০টি গাড়িতে আগুন দেয়। এই তাণ্ডব ভোর চারটা পর্যন্ত চলে।
পরিস্থিতির জেরে দুপুরের দিকে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে। সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিরুলিয়া মিরপুর সড়ক, আর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিরুলিয়া-আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করে।
সিটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, গত সোমবার তারা ড্যাফোডিলের কাছে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার ঘটনায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
