ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৩:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশে ‘সরকার পরিবর্তন’ নীতি থেকে সরে এসেছে: তুলসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগ্রহিত।

ছবি: সংগ্রহিত।

যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশের সরকার পরিবর্তন এবং জাতি গঠনের নীতি ত্যাগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরামে তিনি দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, নতুন নীতি এখন অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, যা পূর্ববর্তী একক-পদ্ধতির শাসন পরিবর্তন নীতির চেয়ে ভিন্ন।

এই মন্তব্য তিনি করেছেন শুক্রবার, বাহরাইনে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন “মানামা ডায়ালগ”-এ। 

গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটন বিদেশী সরকারগুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা থেকে সরে এসেছে। 

তিনি উল্লেখ করেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি শাসন পরিবর্তন এবং জাতি গঠনের একটি অ-উৎপাদনশীল চক্রের মধ্যে আটকা পড়েছিল, যেখানে বিদেশী সরকার উল্টে ফেলা, নিজেদের শাসন চাপানো এবং সংঘাতের মধ্যে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হতো, প্রায়শই মিত্রের চেয়ে বেশি শত্রু তৈরি হতো।

তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য ৯/১১ পরবর্তী সামরিক হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্পের সমালোচিত নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছিলেন, যা ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শেষ পর্যন্ত একটি বিশৃঙ্খল প্রস্থানে রূপ নেয়। যদিও গ্যাবার্ড নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের শত্রুদের সঙ্গে লেনদেনে এই নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র এখন গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রচারের চেয়ে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা, উত্তেজনা কমানো এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান উদ্বেগ।