ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৭:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ, বলছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৭ নভেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, আসতে পারে অবৈধ অস্ত্রের জোগানও। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এসেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ঝুুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এছাড়া অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি।

ইসি সচিব জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়।

এসবি জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয সংসদ নির্বাচনের ৮ হাজার ২২৬ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ২০ হাজার ৪৩৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৭ শতাংশই এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্থাটি ভোটকেন্দ্রের ভৌত অবকাঠামো, থানা থেকে দূরত্ব, কেন্দ্রের নিকটবর্তী প্রভাবশালীদের বাসস্থান ইত্যাদি বিবেচনায় কেন্দ্রের ধরণ নির্বাধন করেছে। এছাড়া, সীমান্তবর্তী ভোটকেন্দ্র, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ভোটকেন্দ্রের তালিকাও শনাক্ত করেছে।

সুপারিশে এসবি বলেছে, মাঠ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনে বাহিনীর আন্তঃকমান্ড নির্বাচন কমিশন হতে নির্ধারণ করা যেতে পারে। নির্বাচনকালীন অবৈধ অস্ত্রের জোগান আসতে পারে। তাই অবৈধ অর্থের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সিআইডিকে দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এসবির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তারা ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ফোর্স মোতায়েন করে থাকেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ শব্দটির পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। আগের নির্বাচনগুলোর মতো এবারো এসবির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বিভিন্ন বাহিনীর কতজন সদস্য ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে তা নির্ধারণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাড়ে ১০ হাজারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। এতে তিনজনের মতো অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার সেভাবেই বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন বাহিনী থেকে তাদের প্রস্তুতির কথা ইসিকে জানানো হয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন করতে চায় কমিশন। এজন্য এখন থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে সংস্থাটি।