ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২১:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

টিকা-মাতৃদুগ্ধে কমবে নিউমোনিয়ায় শিশুর মৃত্যুহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৪ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়। তবে এই মৃত্যুপ্রবণ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসা নয়, পরিবারের সচেতনতা, নিরাপদ পরিবেশ এবং প্রথম ছয় মাস মাতৃদুগ্ধ পান করানো শিশুদের সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, চাইল্ড হেলম রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) এবং বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের (বিএনএফ) যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের প্রায় ২০ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক নয়, নিয়মিত টিকা, প্রথম ছয় মাস মাতৃদুগ্ধ পান করানো, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই শিশু মৃত্যুহার কমাতে কার্যকর।

অনুষ্ঠানে বক্তারা এই রোগের মূল কারণ ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল হক বলেন, এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার অনেক সময় কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা সচেতন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। তবে শিশুদের সুস্থ রাখা শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করছে না।

বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজি ফোরামের চিফ অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ডা. এ. আর. এম. লুৎফুল কবির বলেন, অতিরিক্ত এক্সরে বা ব্লাড কাউন্ট করা শিশুকে বাড়ি পাঠানো বেশি হয়। আমাদের রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসার প্রক্রিয়া সরল ও সঠিক করতে হবে।

বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজি ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ চিহ্নিত করে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ম্যাল নিউট্রিশনের সমস্যা সমাধান না হলে সুস্থ প্রজন্ম গঠনে বাধা থাকবে।

বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, এতো বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শুধু বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এটি আন্তর্জাতিক মানে নজর দেওয়ার বিষয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাসপাতালে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে র‍্যালি, ফটো প্রদর্শনী, লিফলেট বিতরণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। ফটো প্রদর্শনিতে শিশুদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগের বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম. আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতাল ও ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।