ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২০:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ফের বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪০ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সরকারের দীর্ঘতম শাটডাউন শেষ হয়েছে। এবার পুনরায় কার্যক্রম চালু হওয়ার পর ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কা এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার কমানোর প্রত্যাশায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২৩৫ দশমিক ৫৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা গত ২১ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরে সরবরাহযোগ্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও ০.৬ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২৪০ দশমিক ১০ ডলারে লেনদেন হয়।

মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী হুগো প্যাসকাল বলেন, শেয়ারবাজারের পাশাপাশি মূল্যবান ধাতুগুলোও বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের নরম নীতির প্রত্যাশায় আগাম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। সরকার পুনরায় চালু হলেও ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্বর্ণ ও রুপার প্রকৃত চাহিদা এখনো শক্তিশালী। সাম্প্রতিক মার্কিন অর্থনৈতিক সূচকগুলো প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ধাতুর দামের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে।

এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৩ দিনব্যাপী ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকার অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ করার বিল স্বাক্ষর করেন। এ সময়ে চাকরি ও মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ বিলম্বিত হয়েছিল।

চুক্তির ফলে সরকার ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থায়ন পাবে। তবে এ সময়ে প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ যোগ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মোট ঋণকে ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। 

ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন, চলতি বছর আর অতিরিক্ত সুদহার কমানোর সম্ভাবনা কম। তবে গত মাসে ফেড এক চতুর্থাংশ শতাংশ সুদহার কমিয়েছিল। অর্থনীতিবিদদের মতে, ডিসেম্বরে ফেডের নীতি সভার আগে শ্রম দপ্তরকে নভেম্বরের চাকরি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ অর্থনীতিবিদই আশা করছেন ফেড আগামী মাসে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণত সুদহার কমলে স্বর্ণের দাম বাড়ে, কারণ এতে কোনও সুদ না থাকলেও এটি অনিশ্চয়তার সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এ বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশ। গত ২০ অক্টোবর এটি রেকর্ড ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে পৌঁছেছিল। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, ইটিএফ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ফেডের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর প্রত্যাশাই মূলত এই উত্থানের কারণ বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

অন্যদিকে, রুপার দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৫৪ দশমিক ০৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা ১৭ অক্টোবরের রেকর্ডের কাছাকাছি। প্লাটিনাম স্থিতিশীল রয়েছে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৫ ডলারে, আর প্যালাডিয়ামের দাম বেড়েছে ০ দশমিক ৮ শতাংশ, আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৮৫ দশমিক ২৬ ডলারে।

দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।