সরবরাহ ভাল, তাও বাড়ছে ইলিশের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ৭ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার
ফাইল ছবি
আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন বাজারে ইলিশ পাওয়া যাবে না। মা ইলিশের ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে মৎস্য অধিদপ্তর এ সময় এ মাছ ধরা, পরিবহন, মজুত ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শেষ সময়ে ইলিশ কিনে রাখতে বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিক্রিও বেশ বেড়েছে। তবে আজকের ইলিশের দর একটু বেশি। সব মিলিয়ে জমজমাট ইলিশের কেনাবেচা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা বাজার, শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি বা তার কিছু বেশি-কম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দর প্রতিটি ৭০০-৮০০ টাকায়। এর চেয়ে কম ওজনের ইলিশ আবার কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দর ৪০০-৫৫০ টাকা। তবে ওজনে বড় ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে গুলবাগ বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. রফিক বলেন, এ মৌসুমে কম দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই ইলিশের সরবরাহ বাড়ছিল। তবে ছয়-সাত দিন ধরে সরবরাহ প্রচুর। তবে আজকে ইলিশের দাম একটু বেশি।
মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা নাজমুন্নাহার জানান, আর কয়েকদিন পরই বাজারে ইলিশ পাওয়া যাবেনা।এজন্য বেশি বেশি ইলিশ কিনে রাখছি। এগুলো ফ্রিজে রেখে দিব। বাসার সবাই ইলিশ মাছ পছন্দ করে।
বাজারে অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ২৩০-৩০০ টাকা, বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি এক হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ৭০০-৭৫০, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, কই ১৬০-১৭০, পাঙ্গাশ ১০০-১৩০, নলা ১২০-১৩০ টাকা এবং সরপুঁটি ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, আগের মতোই দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। দেশি রসুনের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা প্রতিকেজি।
সবজি বাজারে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা , শিম ৬০-৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা ,বেগুন ৪০-৫০ টাকা, উস্তা ৪০-৫০ টাকা ,বরবটি ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
খামারের মুরগির ডিম দুই সপ্তাহ আগে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা হালি দরে বিক্রি হলে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিম মিলছে প্রতি ডজন ১৮০ টাকায়।
