মাদ্রাসায় কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’, রামপুরায় বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০২:১৬ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
রাজধানীর রামপুরায় সানজিদা রশিদ মিম নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যার বিচার চেয়ে আজ শুক্রবার প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
রামপুরায় উলন জাতীয় মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিমের স্বজনদের অভিযোগ, গত শনিবার মাদ্রাসার ভেতরে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় মিমকে। এরপর লাশ ওজুখানার বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ইন্ধন রয়েছে।
মিমের মা সীমা জানান, তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার স্বামী ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা। তিন সন্তানের মধ্যে মিম বড়। উলন জাতীয় মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী ছিলেন মিম। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিমের জন্য খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে সীমা দেখতে পান সেখানকার সবকটি দরজায় তালা লাগানো; ভেতরে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। এ সময় কী হয়েছে জানতে চাইলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে তাকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মাদ্রাসার একটি ঘরে আটকে রাখে।
মিমের মা জানান, এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় সীমার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন। একপর্যায়ে মাদ্রাসার আয়া রওশন আরাকে তিনি মিমের খবর এনে দিতে অনুরোধ করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে মাদ্রাসার ভেতরে পুলিশ দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যান সীমা। পুলিশ যখন মাদ্রাসার অজুখানা থেকে মিমের ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে নিয়ে চলে যায় তখন মাদ্রাসার লোকজন তাকে বলে মিম আত্মহত্যা করেছেন। সীমা কিংবা এলাকাবাসী কাউকেই তখন মিমের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি।
সীমা আরও জানান, পরে মিমের হাতে-পায়ে দড়ির দাগ এবং কোমরে মারধরের দাগ ও পায়ের গোড়ালিতে ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান মিমের স্বজনরা। জানতে পারেন লাশের পা ছিল মাটিতে লাগানো। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডকে যারা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন মিমের মা সীমা।
শুক্রবার রামপুরা বাজারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা জানান, যেখানে ধর্মের চর্চা হয় সেখানে কোনোভাবেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। মিম হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
