ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২৭:১৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মার্কিন ভিসা না পেয়ে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পেয়ে ভারতে এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত মার্কিন ভিসা না পেয়ে ৩৮ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক তীব্র হতাশার মধ্যে ছিলেন এবং একপর্যায়ে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে আত্মহত্যা করেন।

পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়া এই ঘটনায় বাড়ি থেকে একটা সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শনিবার আত্মহত্যার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরিবারের সদস্যরা অন্য এলাকায় থাকেন। দীর্ঘক্ষণ দরজায় নক করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় পান তারা।

মূলত সাড়াশব্দ না পাওয়ার বিষয়টি গৃহকর্মী প্রথমে লক্ষ্য করেন। তিনি ডাক্তার রোহিনির দরজায় বারবার নক করেও কোনও সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পুলিশ জানায়, মৃত ওই চিকিৎসকের নাম রোহিনি।

ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে তিনি ঘুমের ওষুধের অতিরিক্ত ডোজ নিয়েছেন বা নিজেই কোনো ওষুধ ইনজেকশন দিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে ওই নারী চিকিৎসকের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি হতাশার কথা উল্লেখ করেন এবং মার্কিন ভিসা প্রত্যাখ্যানের কথাও লেখা ছিল। রোহিনির মা লক্ষ্মী জানান, তার মেয়ে চাকরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

হায়দরাবাদের পদ্মা রাও নগরে তিনি থাকতেন। ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। লক্ষ্মী বলেন, “সে মেধাবী ছাত্রী ছিল। ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কিরগিজস্তানে এমবিবিএস করেছে। তার পড়াশোনাও খুব ভালো ছিল, আর ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় স্বপ্ন ছিল।”

নারী ওই চিকিৎসকের মা আরও জানান, তিনি মেয়েকে ভারতেই থেকে চিকিৎসাসেবায় যুক্ত হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু রোহিনি যুক্তরাষ্ট্রে রোগীর সংখ্যা কম, আয়ের সুযোগ বেশি— এ যুক্তি দেখিয়ে সেখানে যেতে চাইতেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় হতাশা ও মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায় বলে জানান লক্ষ্মী। মেষপর্যন্ত ভিসা না মেলায় তিনি মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন।