ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরল ভারতে আটক ৪ তরুণী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ ন‌ভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।

পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।

আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।

আঁখি বলেন, ‘আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।’

পরে আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।’