নিপীড়নের অভিযোগে আইনের দ্বারস্থ শ্যুটাররা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপরই ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের নিপীড়ন নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়। ক্রিকেটের পরপরই শ্যুটিংয়েও নিপীড়নের অভিযোগ সামনে আসে। সাবেক জাতীয় শ্যুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না আজ (শুক্রবার) ফেডারেশনের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক জিএম হায়দার সাজ্জাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। এ সময় তার সঙ্গে গুলশান থানায় গিয়েছেন বর্তমান শ্যুটার কামরুন নাহার কলি এবং এমা।
ক্রীড়াঙ্গনে নারী নিপীড়নের অনেক অভিযোগ থাকলেও আইনের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা সেভাবে দেখা যায় না। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর সাবেক জাতীয় শ্যুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না মামলার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরি করার পর এবার মামলার আবেদন করেছি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা গৃহীত হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা তদন্ত করছে, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আইনি সহায়তাও চেয়েছি। যেন রাষ্ট্রীয় আইনেও এর বিচার হয়।’
শ্যুটার এমা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক জিএম হায়দার সাজ্জাদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন গণমাধ্যমে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নজরে আসায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ২০ নভেম্বর কমিটি গঠনের পর ইতোমধ্যে অবশ্য এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়েছে।
জিএম হায়দার সাজ্জাদের ওপর শ্যুটারদের নিপীড়নের অভিযোগ অনেক। শুধু নারী নয়, পুরুষ শ্যুটাররাও এই বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা ফেডারেশনে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বিগত সময়ে। এবার সার্চ কমিটি তার নাম শ্যুটিং ফেডারেশনের প্রস্তাবিত তালিকায় রাখেনি। এরপরও পরবর্তী সময়ে দেখা যায় তিনি যুগ্ম সম্পাদক। শ্যুটারদের সাজ্জাদের ব্যাপারে অনেক গুরুতর অভিযোগ থাকলেও তিনি বরাবরই এটি প্রত্যাখ্যান ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন কামনা করে।
