ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৭:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুয়েতে গিয়ে স্বামীকে তালাক, প্রেমিককে বিয়ে করে সর্বহারা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের দক্ষিণ খয়রাটি গ্রামে কুয়েত প্রবাসী এক নারী স্ত্রীর দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তবে স্বামী বাড়িতে নেই, তিনি বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গ্রাম পুলিশসহ থানা পুলিশ যায়।

ওই নারী জানান, তিনি নরসিংদী সদরের চিনিসপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া ঘোড়াদিয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে রুমা আক্তার (৩৬)। তার বাড়িতে বিয়ে হয় এবং তিনি বর্তমানে দুই সন্তানের মা।

গত প্রায় দুই বছর আগে তিনি কুয়েতে গিয়ে একটি হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে কাজ করা অবস্থায় তার সঙ্গে পরিচয় হয় তার গ্রামের বাড়ি নান্দাইলের রাজগাতি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের ছেলে নুর নবীর (৩০) সঙ্গে।

নূর নবীর সঙ্গে তার মন দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাকে (নূর নবীকে) বিয়ে করার জন্য দেশে থাকা স্বামীকে তালাক দেন। এর পর প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ভালোভাবেই চলছিলেন। পরে স্বামীর বাড়িতে ঘটনা জানাজানি হলে বেকে বসে স্বামীর পরিবার। কোনোমতেই এই বিয়ে মানতে নারাজ।

এই খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে একে অপরকে ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় বসবাস করা অবস্থাতেই স্ত্রী রুমা গত ২২ নভেম্বর দেশে এসে ২৭ নভেম্বর মাকে সঙ্গে নিয়ে নান্দাইলের দক্ষিণ খয়রাটি গ্রামে এসে স্বামীর বাড়ি খোঁজ করে সন্ধান পান।

ওই সময় তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের দ্বারস্থ হয়ে শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামীর পরিবারের লোকজনের তাড়া খেয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় শনিবার ফের তিনি স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতিতে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, অসহায় ওই নারী বিস্তারিত বলা ছাড়াও বিয়ের সব কাগজপত্র দেখালে তিনি সাবেক মেম্বার হাবিবর রহমানের (নারীর শ্বশুর) বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু তখন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরদিন (শনিবার) ফের ওই নারী ওই বাড়িতে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে নারীর শ্বশুর সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, তার ছেলে যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে এটা একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার। এখন তো ছেলে বাড়িতে নেই। তাছাড়া ছেলের আলাদা কোনো কিছু নেই। এ অবস্থায় ওই নারীর দাবি অযৌক্তিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে পরিবারসহ থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। আসলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।