ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৫:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অবশেষে জামিন পেলেন ভারতীয় ৪ নাগরিক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৩ এএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইনের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালী খাতুনসহ ৪ ভারতীয় নাগরিককে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় এক বাসিন্দার জিম্মায় জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) মো. আশরাফুল ইসলাম এ সংক্রান্ত আদেশ দেন।

এছাড়া স্থানীয় জিম্মাদার হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা গ্রামের ফারুক হোসেন। তিনি সোনালী বিবির আত্মীয় বলে জানা গেছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতীয় চারজন নাগরিক হলেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই থানার বাসিন্দা মো. মন্নু শেখের ছেলে মো. দানেশ (২৮), মো. ভোদু শেখের মেয়ে সোনালী বেগম (২৬), সেরাজুল শেখের মেয়ে সুইটি বিবি (৩৩), আজিজুল দেওয়ানের ছেলে কুরবান দেওয়ান (১৬)। এছাড়া ইমাম দেওয়ান (৬) এবং মো. দানেশের ছেলে মো. সাব্বির (৮)। সাব্বির আসামি নন, তবে তারা তার মায়ের সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন। এছাড়াও সোনালী বেগম চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু বলেন, অন্তঃসত্তা সোনালী খাতুন যে কোনো সময় বাচ্চা প্রসব করতে পারেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনিসহ বাকি আরও তিনজনকে স্থানীয় একজনের জিম্মায় জামিন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আগামী ৩ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানির দিন রয়েছে। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, কোর্ট থেকে প্রেরিত কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে স্থানীয় ফারুক হোসেনের জিম্মায় চারজনকে কারামুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লিতে ইটভাটায় কাজ করার সময় গত ২৬ জুন নারী ও শিশুসহ ওই ছয়জনকে ‘বাংলাদেশি’ দেখিয়ে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। এরপর তারা প্রায় দুই মাস ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। পরে বুধবার (২০ আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এরপর নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এজন্য তাদের এক দিন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।