ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২০:৪৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

খালেদা জিয়ার অবস্থা বিবেচনায় বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি এখনো স্থির হয়নি। তার শারীরিক অবস্থার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড এবং বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া হবে যখন চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করবেন যে তাকে নিরাপদে স্থানান্তর করা যাবে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, দেশনেত্রীর চিকিৎসায় কোনো কমতি রাখা হবে না। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

ডা. জাহিদ বলেন, গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হলেও কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে।

বিলম্বের মূল কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কাতারের আমিরের উদ্যোগে পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কারিগরি ত্রুটি, যা সময়মতো আসেনি। এ ছাড়া মেডিকেল বোর্ড জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে উনাকে ফ্লাই করানো ওই মুহূর্তে নিরাপদ নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জানান, বিদেশে নেওয়ার সময় নির্ধারণ ভবিষ্যতে তার শারীরিক অবস্থাই জানাবে। চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রাধান্য ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে বহু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত রয়েছেন লন্ডনের জন পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রস, প্রফেসর গোলস্টন, প্রফেসর ডক্টর রিচার্ড, শাকিল ফরিদ ও প্রফেসর গার্বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রফেসর হাবিবুর রহমান লুলু, প্রফেসর ডক্টর জন হ্যাবিল্টন, প্রফেসর ডক্টর হামিদরাও, প্রফেসর ডক্টর রফিকউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডক্টর জর্জিস।

ডা. জাহিদ অনুরোধ করেন, ‘দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। শুধু সঠিক তথ্যই প্রচার করা উচিত।’

তিনি জানান, কাতার সরকার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। তবে দেশের বাইরে নেওয়ার আগে চিকিৎসকরা শারীরিকভাবে নিরাপদ স্থানান্তর নিশ্চিত করবে, কারণ ১২-১৪ ঘণ্টার এয়ারফ্লাইটের সময় অসুস্থ ব্যক্তির জন্য উচ্চ উচ্চতার প্রভাব সবসময় সহ্য করা সম্ভব নয়।

আশা প্রকাশ করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও সকলের দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হবেন।’