মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৩০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা
চুরির সন্দেহ করায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মা-মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা। আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, আয়েশার স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে জানানো হয়েছে, তেজগাঁও বিভাগের ডিসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদপুর থানার একটি টিম অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গৃহকর্মী আয়েশা পলাতক ছিলেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন আয়েশা।
তিনি পুলিশকে বলেন, ঘটনার দিন তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে গৃহপরিচারিকা লায়লা আফরোজ তাকে চুরির অভিযোগে আটক করেন এবং তল্লাশি করতে চান। এ সময় নিজের কাছে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তিনি লায়লা আফরোজকে আঘাত করেন। আফরোজার চিৎকার শুনে তার মেয়ে নাফিসা দৌড়ে এলে তাকেও একই অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। ঘটনার একপর্যায়ে তার হাতেও কোপ লাগে বলে দাবি করেন আয়েশা।
তবে আয়েশার এই বক্তব্যকে পুরোপুরি গ্রহণ করছে না পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে, কারণ কিছু অংশ সন্দেহজনক ও অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত ছিল কি না, কিংবা পরিকল্পিত কোনো ঘটনাই কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, আয়েশার স্বামী রাব্বীকেও আটক করা হয়েছে। স্বামীর দেওয়া তথ্যেই নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আয়েশা ছয় মাস আগে মোহাম্মাদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি বাসায় চুরি করেছিলেন বলেও জানায় তারা।
এর আগে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
