ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ইসি এখনও অগোছালো
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
এখনও শেষ করা যায়নি নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কাজ। আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতির কাজও চলমান। ছাপা হয়নি নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল। তপশিলের পরপরই প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করতেও হিমশিম দশা। সব মিলিয়ে তপশিল ঘোষণার ছয় দিন পরও নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়ে আসছেন, নির্বাচন প্রস্তুতির সবকিছুই সম্পন্ন।
এরই মধ্যে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কিত পরিপত্র জারি করেও দুই দিনের মাথায় তা আবার সংশোধন করা হয়েছে। শুরুতে গণভোটের অধ্যাদেশের আলোকে বিধিমালা জারির কথা জানালেও সেই অবস্থান থেকে সরে আসে ইসি। পরে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে, সে আলোকেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসির এমন অগোছালো পরিস্থিতির প্রভাব মাঠ পর্যায়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি দুই ভোটের ব্যালট গণনা নিয়েও কেন্দ্রে জটিলতার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একে তো উপদেষ্টা পরিষদ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরিপও) সংশোধনের সিদ্ধান্ত আসতে দেরি হয়েছে, তার ওপর তপশিল ঘোষণার আগের দিন বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার সীমানা পরিবর্তনবিষয়ক আদালতের রায় দেওয়া হয়। এর পর ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা নিয়েও আদালত থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসে। এ ছাড়া ইসি সচিবালয়ের অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্রুতই তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তপশিল ঘোষণার পর মুহূর্ত থেকেই আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়পত্র সংগ্রহের সুযোগ পান। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা সিডি আকারে দেওয়া হয়। তবে ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার পরিচয় ও দপ্তর নির্দিষ্ট করে পরিপত্র জারি করা হয় রাত সাড়ে ১০টায়। এর সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক দিকনির্দেশনামূলক দলিল নির্বাচনী ম্যানুয়েলও দেওয়া হয়। এটা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও নির্বাচনী সাংবাদিকরা ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব কাজ কীভাবে, কখন, কার মাধ্যমে ও কোন নিয়মে সম্পন্ন হবে— তা বিস্তারিত লেখা থাকে।
তপশিল ঘোষণার আগের দিন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেছিলেন, অবাধ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে তপশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ২০টি পরিপত্র জারি করা হবে। গত সোমবার আলাপকালে এই কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না। দ্রুতই তা নিষ্পত্তি করা যাবে বলে আশা করছি। ভোটার তালিকার আসনভিত্তিক সিডি প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা এতদিন লাগার কথা নয়। শেষ মুহূর্তে কিছু সংশোধনের কাজ চলছে। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কিত পরিপত্রে ভুলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা দ্রুতই সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত পরিপত্র জারিও হয়ে গেছে। ম্যানুয়েলও ছাপা হবে দ্রুতই।
