ঝুঁকি এড়াতে ওয়েবক্যামে যা করা প্রয়োজন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
সুরক্ষার প্রয়োজনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হোক বা অনলাইনে মিট– করোনার সময় থেকে ডেস্কটপ পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্টফোনে ওয়েবক্যামের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়েছে। অনেক সংস্থা এখনও অনলাইনে বা হাইব্রিড মোডে কাজ করছে।
তা ছাড়া দেশে-বিদেশে স্বজনের সঙ্গে ভিডিওকলে কথার বলার জন্য ওয়েবক্যাম অপরিহার্য। কিন্তু অসতর্ক হলে এতে রয়েছে বিপদের শঙ্কা। ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে প্রতারক চক্র; করতে পারে দিনরাত নজরদারি। সুরক্ষা পেতে মেনে চলতে হবে কিছু পরামর্শ আর কৌশল।
ওয়েবক্যাম ব্যবহারের সময়ে ভালো করে দেখুন তার পজিশনিং, ফ্রেমিং, সেটিংসে কোনো অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে কিনা। কারণ অনেক সময়ে জালিয়াত চক্র ওয়েবক্যাম হ্যাক করে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রেমিং, জুমিং– এসব বদল নিতে পারে।
যখন ওয়েবক্যামের প্রয়োজন নেই, তখন ক্যামেরার চোখ ঢেকে রাখতে হবে। প্রয়োজনে তা তুলে ব্যবহার করে আবার ঢেকে দিতে হবে। কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময়ে খেয়াল রাখবেন, সেখানে কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। কোনো অ্যাপ ইনস্টলের ক্ষেত্রে অকারণে ওয়েবক্যাম ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন কিনা, সতর্ক থাকবেন।
কারণ না থাকলে ওয়েবক্যাম ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়াই শ্রেয়। প্রকৃত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের সঙ্গে ল্যাপটপ, পিসি বা স্মার্টফোনে অ্যান্টিস্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। তা হলে ম্যালিশাস লিঙ্ক অনেক আগেই শনাক্ত করা যাবে। অপরিচিত কোনো ইমেইল আইডি থেকে আসা কোনোরকম সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট কখনোই ডাউনলোড বা ক্লিক করা যাবে না।
অনেক সময়ে এতে ট্রোজান হর্স ম্যালওয়্যার ফাইল জুড়ে থাকতে পারে, যা ওয়েবক্যামের দখল নিতে পারে রিমোটেই। তাই সতর্ক থাকবেন। অচেনা কেউ যেন ওয়েবক্যামের দখল নিতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকা জরুরি। পরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে যদি সন্দেহ হয় এমন ইমেইল এসে যায়, তবে তাকে অবশ্যই অবগত করতে হবে। যেন তিনি না বুঝে সেটি অন্য কাউকে ফরওয়ার্ড করে বসেন। প্রয়োজন হলে নিজের ওয়েবক্যাম ঢেকে রাখার সঙ্গে সেটিংসে গিয়ে একে ডিজঅ্যাবল করে রাখতে হবে। আবার প্রয়োজনমতো সেটি অ্যানাবল করে কাজ করতে পারেন।
নিরাপত্তার প্রশ্নে এটাই কৌশল। নিয়ম করে ডেস্কটপ পিসির সব ধরনের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে। কারণ, এর সঙ্গে সিকিউরিটি ফিচারস আপডেট হয়ে যায়। এটি আপডেটেড থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। অন্যদিকে, ফায়ারওয়াল নেটওয়ার্ক অ্যানাবল রাখলে পিসি, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন নিরাপত্তাবলয় তৈরি হয়। পিসি থেকে আসা-যাওয়া ট্রাফিক নেটওয়ার্কের ওপর সুরক্ষার দেয়াল তৈরি করে ফায়ারওয়াল। এতে নিজের গ্যাজেটের নিরাপত্তা বাড়ে।
