বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করেছেন শেখ হাসিনা : স্পিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:৫৪ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১১:২৭ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনকে ধারণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করেই বাংলাদেশকে একটি শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন তিনি।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরে হাসুমণির পাঠশালার প্রথম বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মশালায় আঁকা ৭১টি প্রতিকৃতি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন। প্রদর্শনীতে জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী ১০১টি সুঁচিশিল্প প্রদর্শন করা হয়।
স্পিকার বলেন, ‘হাসুমণির পাঠশালা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দর্শনকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই গবেষণামূলক সংগঠনটি গঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দর্শনের অন্তর্নিহিত ম্লু বিষয় হচ্ছে, বাংলার মানুষের প্রতি তার অপার ভালোবাসা। বার বার ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও বাংলার মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। শোষণ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য।’
শিরীন শারমীন বলেন, ‘সংগ্রাম, কারাজীবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তার এই যে দর্শন, একটি শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা।’
স্পিকার বলেন, ‘স্বাধীনতার পরের সাড়ে তিন বছর যেটুকু সময় তিনি হাতে পেয়ে ছিলেন, একটি যুদ্ধবিদ্ধস্থ, অর্থ শূন্য দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সার্বিক পরিকল্পনা করে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই দর্শনকে ধারণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাবার স্বপ্ন পূরণ, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূন্ন, অর্থনীতিতে অগ্রগামী হয়, প্রতিটি মানুষের জীবনের যেন উন্নত হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তার কঠোর পরিশ্রমে দেশকে আজ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছেন।’
হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, শিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. মাকছুদুর রহমান।
যৌথভাবে প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছেন হাসুমণির পাঠশালা, জাতীয় জাদুঘর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১২ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিকৃতি প্রদর্শনীটি চলবে।
