ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৯:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মইনুল হোসেনকে আদালতে নেয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাকে আদালতে নেয়া হয়।

 

রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেফতারের রাতেই মইনুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়।

 

টক শোতে একজন নারী সাংবাদিকের প্রতি কটূক্তি করার অভিযোগে গতকাল সোমবার রংপুর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মিলি মায়া বেগম নামের এক নারী মানহানির মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোয় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এক মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।



১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণে অতিথি ছিলেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের মিথিলা ফারজানা। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হোন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

 

এরপর ১৭ অক্টোবর ২০১ এক নারী সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ও বিভিন্নস্তরের পেশাজীবীরা এক বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ জানান। উক্ত বিবৃতিতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।

 

এছাড়া গত ১৮ অক্টোবর এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সে সময় নারীদের দুটি দাবি দ্রুত না মানলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নারী সাংবাদিকরা। দাবি দুটি হলো, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে তিনি এরকম ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকবেন।


শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ব্যরিস্টার মঈনুলকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে ‘গৌরব ৭১’ নামে একটি সংগঠন।

 

ঘটনার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছয়টি মামলা হয়। মাসুদা ভাট্টি নিজেও একটি মামলা করেন।