ঢাকা, রবিবার ২১, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৯:১৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

খালেদা জিয়াসহ চারজনের ৭ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:১৪ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে ৭ বছর জেল, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া আরো তিনজনকে একই সাজা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ মামলার রায় ঘোষণা করে।



এর আগে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলাটির বিচার চলবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য ছিলো। তবে তা নির্ভর করছিলো আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের উপর।

 

কারাবন্দি আসামির অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচার চলবে-আদালতের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ওই আপিলের ওপর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ।



এর আগে এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যদি খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে কোনো রকম লিভ দেয়া হয়, তাহলে বিচারিক আদালত কর্তৃক চ্যারিটেবল মামলার রায় প্রদান অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আর যদি আবেদনটি খারিজ হয়ে যায় তবে সোমবার রায় দেওয়া সম্ভব হবে।

 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়া যদি আদালতে যেতে না চান তাহলে তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষিত হবে। এছাড়া তো আর কোনো পথ নেই।



গত ১৬ অক্টোবর পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান চ্যারিটেবল মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করে দেন।

 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া প্রায় আটমাস যাবত কারাগারে আছেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে মামালার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ টাকার কোন উৎস তারা দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 


এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না। হারিস চৌধুরী ছাড়া বাকি সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

 


দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পারে যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে। সেটির ট্রাস্টি ছিল খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। সে ট্রাস্টের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করা হলেও সেটি দাতব্য কাজে খরচ করা হয়নি।



দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ২০১১ সালের আগস্ট মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর মামলার কার্যক্রম স্থগিতে আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।