মনকাড়া শীতের সবজিতে বাজার ভরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
নভেম্বরের শেষপ্রান্তে এসে রাজধানী ঢাকায় কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। এ সময়ে মনকাড়া নানা রকম শীতের সবজিতে বাজার ভরা। তারপরও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোন কোন সবজি কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, পরীবাগ, কারওয়ানবাজার ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পাড়ায় ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে নানা রকম দৃষ্টিনন্দন শাক-সবজি। এসব ভ্যানে নারী ক্রেতাদের ভিড়েই বেশি। স্কুল ফেরত মায়েরা প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন এসব ভ্যান থেকে। আর তাই বাজারের তুলনায় এদের পণ্যের দামও কিছুটা বেশি থাকে বলে জানা গেছে।
সবজির বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আগের মতই। ৮০ থেকে ১০০ ঠাকা কেজি। প্রতি কেজি পাকা টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করল্লা ৪০, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাঁকড়ল ৩৫ থেকে ৬০ টাকা, বড় দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, মাঝারি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি আঁটি কলমি শাক ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকায়, লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায়, পালং শাক ১৫ টাকায়, পুঁই শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মিষ্টি কুমড়ার ফুল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা মুঠো। শাপলা প্রতি মুঠি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা।
রাজধানীর খুচরাবাজারে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চালের দাম আরও বাড়তে পারে জানান চাল ব্যবসায়ীরা। যদিও এর কোন যুক্তি তারা দেখাতে পারেনি।
মাছের বাজারে মাছের দাম বাড়তির দিকে। প্রতিকেজি রুই ও কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৭০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৫০ -২৬০ টাকা,টাকি মাছ ৩৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি কেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের যোগানও ভালো। তাই দামটাও কিছুটা নাগালের মধ্যে। তবে আরও কম দাম আশা করছে ক্রেতারা। বাজারে প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, ফার্মের সাদা ডিম একশ পিস পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা টাকায়। ফার্মের লাল ডিম একশ পিস পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকায়।
গরুর মাংস ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকায়। লাল কক মুরগির ২০০-২২০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে বিভিন্ন জাতের হাঁস পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি পিস হাঁস ওজনভেদে ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, ভারতীয় রসুনের প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৮০ টাকায় ও দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ দেশি ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
