স্কুলে বাবাকে অপমান, ভিকারুননিসার ছাত্রীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
অরিত্রি অধিকারী (১৫) নামে রাজধানীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ক্লাস পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে তার বাবাকে ডেকে স্কুলের প্রিন্সিপাল অপমান করায় তা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে।
আজ সোমবার শান্তিনগরের ৭ তলার বাসায় অরিত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৪টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অরিত্রি অধিকারী ভিকারুন্নেসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী একজন কাস্টসম (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ী। পরিবারের সাথে রাজধানীর শান্তিনগরে থাকতো সে। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার সেল ফোনে নকল আছে এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক আজ সোমবার তাদের স্কুলে যেতে বলেন। আজ অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। এ সময় ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ক্ষমা চান।
কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি। পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তিনি তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে নিতে বলেন।
দিলীপ অধিকারী বলেন, এ সময় আমি মেয়ের সামনেই কেঁদে ফেলি। অরিত্রি হয়তো আমার ওই কান্না-অপমান মেনে নিতে পারেনি।
অরিত্রির বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। বাসায় ফিরে সে তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।