ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আরাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস জানান, গতকাল সোমবার রাতে জিনাত আরাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী গতকাল জানান, অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার সেল ফোনে নকল আছে এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক আজ সোমবার তাদের স্কুলে যেতে বলেন। আজ অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। এ সময় ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ক্ষমা চান।
কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি। পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তিনি তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে নিতে বলেন।
দিলীপ অধিকারী বলেন, এ সময় আমি মেয়ের সামনেই কেঁদে ফেলি। অরিত্রি হয়তো আমার ওই কান্না-অপমান মেনে নিতে পারেনি।
অরিত্রির বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। বাসায় ফিরে সে তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
