ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ২১:১২:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কাঁচাবাজারে এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে সব পণ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গত দুই সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে এ সপ্তাহে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। প্রতিটি জিনিসেই ৫ থেকে ১০ টাকা বেশ লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, নির্বাচন পরবর্তি সময় দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। কয়েকদিনের মধ্যে তা কমে যাবে।  

এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, যে কোন ইস্যুতেই কাঁচাবাজারের পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। কোনো ভাবেই কমছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে।

শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও তালতলা, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, কাঁঠালবাগান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি নতুন আলু ৪০ টাকা এবং পুরাতন আলু ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, মরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ৬০ টাকা, শশা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, বটবটি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়ি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, লতি ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা প্রতি পিস, ফুলকপি ৩০টাকা পিস, বাধাকপি ৩০ টাকা, ব্রোকলি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
খুচরা ব্যবসায়িরা জানান, আমরা পাইকারি বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বেচাকেনা করি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকলে আমাদের তো কম দামে বিক্রি করার উপায় নেই।

বাজারে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসলে ব্যবসায়িদের নিয়ন্ত্রণ কোনো সরকারই করতে পারছে না। আমরা সাধারণ মানুষ ব্যবসায়িদের হাতে জিম্মি। তাই পণ্যের দাম দোকানগুলোতে যা ধরা হয় তাই দিয়ে তা কিনতে হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারে মিলন সরদার নামে একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মিলন বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনতে সমস্যা হবে না। কিন্তু আমরা যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি তাদের তো কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। আসলে আমরা সাধারণ মানুষ সব সময়ই বিপাকে পড়ি।

বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতিয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি রসুন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগির ডিম এবং হাঁসের ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম (সাদা) ১৩০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি। 

শ্যামবাজার পাইকারী কাচাবাজার ব্যবসায়ীদের নেতা ইসমাইল হাওলাদার বলেন, কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম সব সময়ই ওঠানামা করে। যখন আমদানি বেশি হয় তখন দাম কমে। আবার যখন আমদানি কমে তখন দাম বাড়ে। নির্বাচন পরবর্তি সময়ে বর্তমানে পণ্যের দাম একটু চড়া। কিছু দিনের মধ্যেই পণ্যের দাম অনেকটা কমবে বলে জানান তিনি।